সভা-সমাবেশসহ জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদেনর শুনানির জন্য আগামী ৬ নভেম্বর দিন ঠিক করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ঠিক করে দেয়।
আদালতে এ আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। অন্যদিকে জামায়াতের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন।
জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা এবং নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পরও রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে নিবন্ধন ফেরত চাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদন করেন মওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, মো. হুমায়ন কবির ও ইমদাদুল হক নামে তিন ব্যক্তি।
আবেদনকারীদের আইনজীবী তানিয়া আমীর বলেন, ‘জামায়াতের বিরুদ্ধে আমরা দুটি আবেদন করেছি। তার মধ্যে একটি হলো আদালত কর্তৃক নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে সেই নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করেছেন যেটা আদালত অবমাননার শামিল। আরেকটি হলো আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াত যাতে কোনো সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে না পারে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়েছি।’
আবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় এখন পর্যন্ত বহাল রয়েছে। রায় বহাল থাকাবস্থায় গত ১০ জুন জামায়াতে ইসলামী ঢাকায় সভা-সমাবেশ করেছে। উচ্চ আদালতের রায়ের পর দলটির এ ধরনের কর্মসূচি পালন বেআইনি। একইসঙ্গে উচ্চ আদালতের রায়ের লঙ্ঘন। কারণ রায়ে বলা হয়েছে, দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের পরিপন্থি। অতএব কোনোভাবেই দলটি সভা-সমাবেশ করার অনুমতি পেতে পারে না।
এ ছাড়া নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য। কিন্তু এরপরেও সভা-সমাবেশে দলটির নিবন্ধন দাবি করে বক্তব্য প্রদান আদালত অবমাননার শামিল।
১০ বছর পর গত ১০ জুন রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ করে জামায়াত। এ কর্মসূচি থেকে তাদের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়াসহ বেশ কয়েকটি দাবি করেন। যা নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় ওঠে।
২০০৯ সালের এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেয় হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে জামায়াত। যা এখনও শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।