বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বুধবার ওআইসিভুক্ত ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান নির্ভর করছে মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর। মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান সম্ভব।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি, মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মাজিদ হালিম, কাতারের রাষ্ট্রদূত আলি মাহদি সাঈদ আল-কাহতানি, লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুল মুতালিব সুলিমান, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন, ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি ও ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওথমান।
এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হামিদ আল তামিমি, ইরাকের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহামাদ আল দারাজি, ওমানের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফাতিহা আল বুলুশি, ইন্দোনেশিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাদেন উসমান ইফেন্দি এবং মিসরের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিনা মাকারি বৈঠকে অংশ নেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী মানবজাতির কল্যাণে যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে গাজার একটি হাসপাতালে হামলায় নারী-শিশুসহ নিরীহ মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গতকাল হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ ও শিশুদের হত্যা এবং শিশুদের রক্তমাখা মুখ দেখেছি। আমি বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানাচ্ছি- যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন।
‘যুদ্ধ এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা কখনোই মানবজাতির জন্য ধ্বংসের পরিবর্তে কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। যুদ্ধে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অস্ত্র প্রতিযোগিতার অর্থ সারাবিশ্বের শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করা হোক।’