প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার রাজধানীতে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনি (মির্জা ফখরুল) শেষ বার্তা দিচ্ছেন, আজ আমি শেষ বার্তা দিচ্ছি- শেখ হাসিনা নির্বাচন সরকারের সরকারপ্রধান থাকবেন। শেখ হাসিনা আবারও জনগণের রায়ে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী হবেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ওনার (মির্জা ফখরুল) কথা গরম, হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। আমাদের ভয় দেখায়। ফখরুল সাহেব জুস খায়, অনশন বন্ধ করে দেয়। আমাদের বার্তা দিচ্ছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে, দিনকালও ঠিক করে দিচ্ছেন।’
মির্জা ফখরুল পাঁচ তারকা হোটেলে নাস্তা করে অনশন করেন দাবি করে তিনি বলেন, আড়াই ঘণ্টা পর বিদেশি জুস খাইয়া অনশন বন্ধ করে দেন। এই আন্দোলন তারা করছে। আমাদের বার্তা দিচ্ছে, দিনক্ষণ বলে দিচ্ছে কবে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। বাংলাদেশের ম্যাজিক লিডার শেখ হাসিনা। আপনি কে বার্তা দেওয়ার- শেখ হাসিনা কার কাছে ক্ষমতা দেবে? শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন কি না?’
মির্জা ফখরুলের পকেট গরম, মালপানি ভালো ঢুকেছে বলে এ সময় মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘উৎসাহিত হচ্ছেন, কারণ পশ্চিমারা নাকি উৎসাহ দিচ্ছে। ফখরুল সাহেব, দুনিয়ার অবস্থা ভালো না। তাদের নিজেদের ঘর সামলানোই কঠিন। তারা ঘর সামলাবে নাকি আপনাকে উৎসাহ দেবে? উৎসাহ দেয়ার দিন শেষ।’
ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় শীর্ষ এ নেতা বলেন, ‘অবরোধ করবেন? পালটা অবরোধ দেব। দাঁড়াতে দেব না। অবরোধ যারা করবে, তারাই সাধারণ মানুষের জন্য বাধা। তাদের বিরুদ্ধে মার্কিনিদের ব্যবস্থা কী হয়, সেটা দেখা হবে।’
সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, শাহজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, মির্জা আজম প্রমুখ।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতারা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।