ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হিলি রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ, আধুনিক যাত্রী ছাউনী ও স্টেশন মাষ্টারসহ সকল কার্যক্রমের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করেছে হিলির স্থানীয়রা।
হিলি রেলষ্টেশনের রেল লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে বুধবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে আন্দোলন শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় খুলনাগামী রকেট ট্রেন আটকে যায়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে, আন্দোলন শুরুর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ের বাণিজ্য কর্মকর্তা একে এম নুর আলম দাবি মেনে নেয়ার প্রস্তাব দিলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, ১০ সেপ্টেম্বর রেলপথ অবরোধ করে মানববন্ধন করা হলে স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয়। কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও বিষয়গুলোর কোনো সুরহা না হওয়ার কারণে আবারও রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পায় সরকার। অথচ রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা। রেলস্টেশন হয়েছে ব্রিটিশ আমলে অথচ ট্রেন থামে না এই স্টেশনে, এটা দুঃখজনক। তাই সাধারণ মানুষকে নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য।’
রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ের বাণিজ্য কর্মকর্তা একে এম নুর আলম আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘১৪ নভেম্বর থেকে হিলি রেলওয়ে স্টেশনে একটি পুর্ণাঙ্গ স্টেশনসহ সকল কার্যক্রম চালু করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে এখানে আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজও দেয়া হবে।’