দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা তিনি রক্ষা করবেন বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজারে ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার।
জাতীয় নির্বাচনের আগে নাগরিক সমাজসহ সব পক্ষের অবাধ সম্পৃক্ততার ওপর জোর দেন তিনি।
আগের দিন সোমবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ ধরে আফরিন বলেন, ‘আমরা মনে করি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কেবল ভোটের দিনের বিষয় নয়। বরং এর মানে হচ্ছে, ভোটের আগের এই মাসগুলোতে নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও বিভিন্ন পক্ষ যেন অবাধে গণতান্ত্রিক চর্চায় সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পায়।’
বাংলাদেশের মতো একটি ছোট জায়গায় এতো রোহিঙ্গাকে স্থান দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের এই অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি।
তিনি বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সাহায্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র। সে জন্য কাজ করা হচ্ছে। আগামীতে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটি এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে বিমানযোগে কক্সবাজারে পৌঁছে। পরে সড়কপথে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান আফরিন ও তার সফরসঙ্গীরা।
চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নিয়ে তিনি প্রায় ১০টির মতো ক্যাম্পে গিয়ে সেবামূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন। বিকেলে তিনি ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করেন।
সোমবার সকালে ৩ দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা।