বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্তে কমিটি

  • প্রতিনিধি, গাইবান্ধা   
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ ১৫:৪৭

তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. রেদওয়ানুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘তদন্তের সময় বিষয়গুলো সঠিকভাবে ও প্রভাবমুক্ত হয়ে যাচাই-বাছাই করে তদন্ত রিপোর্ট সঠিক সময়েই দাখিল করা হবে।’

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনে চিকিৎসকের অবহেলায় এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উপজেলার সিটি জেনারেল হাসপাতাল ও কনসালটেশন সেন্টারে সোমবার তানিয়া বেগম নামের ওই নারী মারা যান। পরে মঙ্গলবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. রেদওয়ান ইসলামকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন।

তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতি বলেন, ‘যেহেতু প্রসূতির অপারেশনে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেই বিষয়টা মাথায় রেখে আমরা একজন এনেস্থেসিয়া ও একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের একটি টিম ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি পরিদর্শন করেছে।’

এর আগে সোমবার বিকেলে উপজেলার সিটি জেনারেল হাসপাতাল ও কনসালটেশন সেন্টারে এই প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ২১ বছর বয়সী তানিয়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের পলুপাড়া গ্রামের মাহাবুর রহমানের স্ত্রী।

তানিয়ার স্বজনরা জানান, তানিয়ার প্রসব বেদনা উঠলে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে তাকে ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাকে দ্রুত সিজার করার পরামর্শ দেন ওই সেন্টারের ডা. মশিউর রহমান সাদিক ও গাইনি চিকিৎসক তৌহিদা ইয়াসমিন সোমা। তাদের কথা মতো তানিয়াকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার কিছুক্ষণ পর তার একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয় এবং তাৎক্ষণিক রোগীর অবস্থা খারাপের কথা জানায় চিকিৎসকরা।

তারা জানান, এর পরই অপারেশন থিয়েটারেই মৃত্যু হয় তানিয়ার। পরে এমন খবরে স্বজন ও এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে হাসপাতাল এলাকায় জড়ো হলে কৌশলে পালিয়ে যান অভিযুক্ত ডা. মশিউর রহমান সাদিক ও গাইনি চিকিৎসক তৌহিদা ইয়াসমিন সোমা।

স্বজনদের দাবি, ওই সেন্টারের ডা. মশিউর রহমান সাদিক ও গাইনি চিকিৎসক তৌহিদা ইয়াসমিনের দায়িত্বে অবহেলা ও তড়িঘড়ি করে অপারেশনের কারণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকদের শাস্তির দাবিও জানান তারা।

ঘটনার দিন তাৎক্ষণিক ওই ক্লিনিক পরিদর্শন করা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে আগেও এ ধরনের অভিযোগ ছিল। তাদের লাইসেন্সও নবায়ন করা নেই। ওই প্রসূতির হাইপারটেন্সি (উচ্চ রক্তচাপ) রোগী ছিল।

তিনি বলেন, ‘আপাতত ধারণা করা হচ্ছে, এ্যানেস্থেসিয়ার কাজ সঠিকভাবে করা হয়নি। ফলে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে, তদন্ত হলে ঘটনার বিস্তারিত এবং রোগীর মুত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’

তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. রেদওয়ানুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘তদন্তের সময় বিষয়গুলো সঠিকভাবে ও প্রভাবমুক্ত হয়ে যাচাই-বাছাই করে তদন্ত রিপোর্ট সঠিক সময়েই দাখিল করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর