বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতনে আহত মুকুলকে পাঠানো হলো ঢাকায়

  • প্রতিনিধি, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়    
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ ১৩:৪৫

ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনের নির্দেশনায় রোববার মুকুলকে নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) বঙ্গবন্ধু হলের একটি কক্ষে রাতভর নির্যাতনে আহত ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুকুল আহমেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতালে) পাঠানো হয়েছে।

চিকিৎসকদের পরামর্শে সোমবার তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

এদিকে ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনের নির্দেশনায় রোববার মুকুলকে নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

কমিটির প্রধান করা হয়েছে রসায়ন বিভাগের শিক্ষক নাজমুল কায়েসকে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. মাহফুজ আলম ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রিফাত ফেরদৌস।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. খোরশেদ আলম বলেন, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসকদের পরামর্শে মুকুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার চিকিৎসায় যাবতীয় সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

আহত মুকুল মোবাইল ফোনে জানান, তার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসার জন্য তিনি ভর্তি হবেন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হাতের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হলে তা করাবেন।

পাশে থাকা মুকুলের বাবা সাফিজ উদ্দীন নিউজবাংলাকে বলেণ, আমি গরিব মানুষ। ছেলের এই অবস্থায় যে উন্নত চিকিৎসা করাব, সেই সামর্থ্য আমার নেই। কান্নাজড়িত কণ্ঠে সফিজ উদ্দীন তার ছেলের নির্যাতনকারীদের শাস্তির দাবিও জানান।

গত বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের ৪০১৮ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে মুকুল আহমেদকে রাতভর নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়। পিটিয়ে তার বাঁ হাত ভেঙে দেয়া হয়েছে। আহত মুকুলের অভিযোগ, ইংরেজি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তানজীদ মঞ্জু ও সিহাব উদ্দিন এ নির্যাতন চালিয়েছেন।

অভিযুক্ত তানজীদ মঞ্জুর বলেছেন, মুকুল নীরবে শিবির করে। আমার ছোট ভাইদের বলেছিলাম, ওকে ডেকে নিয়ে এ বিষয়ে সতর্ক করার জন্য। আমার ছোট ভাইয়েরা ছেলেটিকে ডেকে নিয়ে সতর্ক করেছে মাত্র। মারধর করেনি। কোথাও পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে গেছে, এখন আমাকে ফাঁসানোর জন্য সেটা ব্যবহার করছে।

এ বিভাগের আরো খবর