একটি ইঁদুরের লেজ কেটে মাসব্যাপী ইঁদুর নিধন অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
খুলনার দৌলতপুর ডিএই অডিটোরিয়ামে সোমবার দুপুরে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান উদ্বোধন ও বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, ‘ইঁদুর একটি চতুর ও নীরব ধ্বংসকারী স্তন্যপায়ী প্রাণী। এর দ্বারা মাঠের ও গুদামের অনেক ফসল নষ্ট হয়। ফসল উৎপাদনের বড় বাধা হলো ইঁদুর।
‘প্রতি বছর ইঁদুরের কারণে গড়ে সাত লাখ মেট্রিকটন খাদ্যশষ্য নষ্ট হয়। ইঁদুর আকারে ছোট হলেও এর ক্ষতির ব্যাপকতা অনেক বেশি। ইঁদুর নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে দেশে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে সফল হওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের যত অর্জন তার মধ্যে ফসলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব। কৃষি খাতের উন্নয়নের জন্য সব ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছে সরকার।
‘এজন্য বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ইঁদুর শুধু ফসলেরই ক্ষতি করে না, মানুষ ও পশু পাখির মধ্যে প্লেগ, জন্ডিস, টায়ফয়েড, জ্বর, আমাশায়সহ প্রায় ৬০ প্রকার রোগ ছড়ায়।’
এ সময় ইঁদুর নিধন পদ্ধতি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে, বংশবিস্তার রোধ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান মেয়র।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোহন কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. নাজমুল হুসেইন খান।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (পিপি) এসএম মিজান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে বিজেএর চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী, কৃষক আব্দুল হালিম আকনসহ অনেকেই বক্তব্য দেন।
পরে খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষক ও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে কৃষি কর্মকর্তা, কৃষক, খামার মালিকসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চল, মেট্রোপলিটন কৃষি অফিস দৌলতপুর ও লবণচরা যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে দৌলতপুর মেট্রোপলিটন কৃষি অফিস চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।