বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে: আমীর খসরু

  • প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম   
  • ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ ১৯:৫৪

আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিদেশির ওপর ভর করেছে বিএনপি- আওয়ামী লীগের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা তো কোনো সময় বলি না যে তলে তলে সবকিছু ম্যানেজ করে নিয়েছি। বিএনপিকে কারও ওপর নির্ভর করতে হবে না। যারা নির্ভরশীল তাদের হৃদয়ে কম্পন শুরু হয়েছে। কারণ তারা দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে।’

আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউরীতে নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলন আরও বেগবান করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিদেশির ওপর ভর করেছে বিএনপি’- আওয়ামী লীগের এমন বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা তো কোনো সময় বলি না যে তলে তলে সবকিছু ম্যানেজ করে নিয়েছি। বিএনপি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। খালেদা জিয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তারেক রহমান সবচেয়ে ডায়নামিক লিডার। কারও ওপর নির্ভর করতে হবে না বিএনপিকে। যারা নির্ভরশীল তাদের হৃদয়ে কম্পন শুরু হয়েছে। কারণ তারা দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক প্রমুখ।

‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতা করে একটি উপায় বের করা উচিত’- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ‘এখানে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি বিষয় নয়। বিষয়টি হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরে পাওয়ার। তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার বিষয়। কেবল জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমেই সেটা সম্ভব।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বলেছিলাম ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের রোডমার্চে সুনামি হবে। সেদিন চট্টগ্রামের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে। সুনামির থেকেও বেশি কিছু করেছে। বাংলাদেশের জন্য, মানুষের জন্য ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আমাদের আগামী দিনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

সভাপতির বক্তব্যে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, ‘এক দফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি- এই স্লোগান এখন বাংলাদেশের প্রত্যেকের ঘরে ঘরে। আমাদের এক দফার আন্দোলন হচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন হবে। নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে হবে। শেষপর্যন্ত লড়তে হবে। আমরা প্রয়োজনে প্রতিরোধ করব। জীবন দিয়ে হলেও এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।’

জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে। দেশের মানুষ এখন আন্দোলনমুখী। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্তবর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।’

গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন হুমকির মধ্যে আছে। এই হুমকি থেকে বাঁচতে হলে আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ছাড়া বিকল্প নেই। বিএনপির এক দফা হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি নির্বাচিত সরকার হবে। সে সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।’

এস এম ফজলুল হক বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র লুণ্ঠিত হয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখন চরম সংকটে পতিত হয়েছে। এ সংকট থেকে উদ্ধার করতে হলে অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সেজন্য আরও কঠিন কর্মসূচি দিতে হবে।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক মিসেস মা ম্যা চিং, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুন অর রশিদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল মনিষ দেওয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, মশিউর রহমান বিপ্লব, মামুনুর রশিদ মামুন, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাবুদ্দীন সাবু, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, ফেনী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক এম এ খালেক।

উপস্থিত ছিলেন মহানগর ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ।

এ বিভাগের আরো খবর