বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লক্ষ্য একটাই, এই সরকারের পতন: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ ১৯:৩৯

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে যুবকেরা চাকরি পায় না। কারণ, চাকরি, ব্যবসা সব ক্ষেত্রে দলীয়করণ চলছে। জোর করে জমি দখল, চাকরি দখল করে নেয়। এর জন্য একাই লক্ষ্য, এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকারের পতন চান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার অভিযোগ, সবকিছুতেই সরকার দলীয়করণ করছে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সোমবার বিকেলে এক যুব সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে যুবকেরা চাকরি পায় না। কারণ, চাকরি, ব্যবসা সব ক্ষেত্রে দলীয়করণ চলছে। জোর করে জমি দখল, চাকরি দখল করে নেয়। এর জন্য একাই লক্ষ্য, এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, এই সরকার সাংবিধানিকভাবে বৈধ নয়, অবৈধ। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে আওয়ামী লীগ। সরকার সবকিছুকে দলীয়করণ করে ফেলেছে। এই সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ প্রশাসন, বিচার বিভাগ সবকিছু দলীয়করণ করে ফেলেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পদত্যাগ করুন, সংসদ বিলুপ্ত করুন, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন, এবং একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন করুন।’

খালেদা জিয়া মুক্তি ও চিকিৎসার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে যেভাবে আজকে আটকে রাখা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বেআইনি। একদিন না একদিন এর জবাব দিতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বিদেশে পাঠাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জোর দিয়ে বলছে, সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। তাহলে আগে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। কারণ, আপনি অবৈধ হয়ে আছেন। শুধু ভোটচোর নয়, এই সরকার অবৈধ, তা জোর দিয়ে বলতে হবে। সারা পৃথিবীকে জানাতে হবে, যারা সংবিধান নিয়ে এত এত বড় কথা বলছে, তারা অসাংবিধানিকভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতায় বসে আছে। ভূতের মুখে রাম রাম শোভা পায় না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আমাদের জীবন নিয়ে লড়াই করছি। অনেক মা সন্তানহারা, অনেক সন্তান পিতৃহারা, অনেক বোন স্বজনহারা হয়েছেন। আমাদের আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই।’

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেন, এই সমাবেশের মাধ্যমে যুবদল প্রমাণ করেছে যে তারা শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে শক্তি ও সামর্থ্য রাখে। আওয়ামী লীগের দণ্ডপ্রাপ্ত নেতারা বিদেশ যেতে পারলেও খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেয়া হচ্ছে না। খালেদা জিয়ার কিছু হলে জনগণ তা মেনে নেবে না। পিঠের চামড়া থাকবে না।

দুপুর সোয়া দুইটার দিকে নয়াপল্টনে যুব সমাবেশ শুরু হয়। তবে বেলা ১২টা থেকেই সমাবেশস্থলে মিছিল নিয়ে যোগ দিতে থাকেন যুবদলের দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা। একদিকে সমাবেশস্থলে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে ট্রাক দিয়ে প্রস্তস অস্থায়ী মঞ্চে উজ্জীবিত করতে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এক দফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই সমাবেশের আয়োজন করে যুবদল।

যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

এ বিভাগের আরো খবর