কেউ যেন গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করতে না পারে সে ব্যাপারে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে সোমবার সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কেউ যাতে গুজব সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে না পারে। জনগণের সামনে সত্য উন্মোচন করে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। সমাজের বিশৃঙ্খলাকারী যেই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের মুখচ্ছবি। পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা, দক্ষতা, আন্তরিকতা, সততা ও ত্যাগের মাধ্যমে ডিএমপি আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছে। আগামী দিনেও যে কোনো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিএমপি প্রস্তুত রয়েছে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সারা দেশের মত রাজধানীতেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখা একান্ত প্রয়োজন। বর্তমানে নিত্য-নতুন প্রযুক্তির কারণে অপরাধের ধরন অনেক পাল্টে গেছে। এজন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য ও মূল অপরাধীকে খুঁজে পেতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যানজট নগরবাসীর জন্য একটির অন্যতম বড় সমস্যা। প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমরা অনেকেই এর জন্য দায়ী। যানজট কমাতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ঢাকার যানজটপূর্ণ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। ইতোমধ্যে ট্রাফিক বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশের অবকাঠামোগুলোকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যাতে করে নগরবাসী এসে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। মামলা তদন্ত ও মনিটরিং এর ক্ষেত্রে আরও বেশি আন্তরিক হতে হবে। যাতে করে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে মামলা তদন্ত শেষ করা যায়। কোনো অপরাধী যেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কোনো কারণে খালাস না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।’
সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী হয়ে কোনো কাজ করা যাবে না। কর্তৃপক্ষ যেভাবে নির্দেশনা প্রদান করবে সেই অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সঠিকভাবে তামিল করতে হবে। ওয়ারেন্টভুক্ত কোনো ব্যক্তি যাতে সমাজের মূল স্রোতের সাথে মিশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। চুরির মামলা, ছিনতাই মামলা, চোরাই গাড়ি উদ্ধার ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।’