বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জঙ্গি ছিনতাই: দশম বারের মতো পেছাল প্রতিবেদন দাখিল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ ১৮:২৩

ঢাকার আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার তারিখ ছিল সোমবার। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তা না পারায় ঢাকার মহানগর হাকিম ফারাহ দিবা ছন্দা ১৪ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।

ঢাকার আদালত চত্বর থেকে আনসার আল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ১৪ নভেম্বর নতুন তারিখ ঠিক করেছে আদালত।

ঢাকার মহানগর হাকিম ফারাহ দিবা ছন্দা সোমবার এই নতুন দিন ধার্য করেন। এ মামলার প্রতিবেদন দিতে এ নিয়ে দশমবারের মতো সময় বাড়ানো হলো।

আলোচিত এই মামলায় এদিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তা না পারায় বিচারক তারিখ পিছিয়ে দেন বলে আদালতের প্রসিকিউশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক আশ্রাফ আলী জানান।

২০২২ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকার আদালত চত্বর থেকে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আনসার আল ইসলাম সদস্য মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।

সে সময় আসামি আরাফাত ও সবুর নামে আরও দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেও পরে তাদের ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ওই ঘটনায় ঢাকার কোতোয়ালি থানায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক, তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস, রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন ও ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেন।

এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুটি মোটর সাইকেলযোগে আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জন সদস্য আদালত চত্বরে অবস্থান নেন। এছাড়া আদালতের আশপাশে ও মূল ফটকের সামনে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য ছিলেন। এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যান।

প্রসঙ্গত, ওইদিন সকাল ৮টা ৫ মিনিটে কাশিমপুর থেকে ১২ জন আসামিকে প্রিজন ভ্যানে ঢাকার আদালতে আনা হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার প্রসিকিউশন বিভাগে আসামিদের হাজিরা দেয়ার জন্য আদালত ভবনের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল-৮ এ নিয়ে যাওয়া হয়।

বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে আদালতের মূল ফটকের সামনে পৌঁছলে পুলিশের মুখে স্প্রে ছুড়ে আসামি ছিনিয়ে নেন সহযোগী জঙ্গিরা।

ছিনতাইয়ের ঘটনায় মেহেদী প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন বলে পুলিশ দাবি করেছিল। ঘটনার তিনদিন পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এর কয়েকদিন পর ঈদী আমিনও আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর