বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদা জিয়াকে বিষ প্রয়োগে হত্যার পরিকল্পনা হচ্ছে: রিজভী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ ১৬:৩৫

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ ও স্থায়ী জামিনের বিষয়ে চিকিৎসক ও আইনজীবীদের মতামতকে নিরেট ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিহিংসা মেটাতে অগ্রাহ্য করছেন প্রধানমন্ত্রী। উন্নত চিকিৎসা থেকে খালেদাকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকে পৃথিবী থেকে সরানো।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিষ প্রয়োগে হত্যার পরিকল্পনা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ ও স্থায়ী জামিনের বিষয়ে চিকিৎসক ও আইনজীবীদের মতামতকে নিরেট ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিহিংসা মেটাতে অগ্রাহ্য করছেন প্রধানমন্ত্রী। উন্নত চিকিৎসা থেকে খালেদাকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকে পৃথিবী থেকে সরানো।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনসমর্থনহীন শাসকগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের নিমূর্লের মহাপরিকল্পনায় লিপ্ত। এ ক্ষেত্রে খাবারের মধ্যে বিষ প্রয়োগ থেকে শুরু করে বিচারের নামে প্রহসনের সাজা দেয়া এবং গুম খুন গুপ্তহত্যার বিবিধ প্রণালী অবলম্বন করেছে সরকার।

‘আর এটির স্বয়ং প্রকাশ হচ্ছে লন্ডনে শেখ হাসিনার বক্তৃতা। সেই বক্তৃতার মধ্যেই নিহিত ছিল বিচার বুদ্ধিহীন ও বিবেচনা শক্তিহীন প্রতিশোধের ইঙ্গিত। বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসায় বাধাদান, সেটারই বড় প্রমাণ।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘২০১৭ সালে খালেদা জিয়া লন্ডনে গিয়েছিলেন। তিনমাস পর সেপ্টেম্বরে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি একটি মিথ্যা মামলার ফরমায়েশি রায়ে তাকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর দৃশ্য দেশবাসী দেখেছে। সোয়া দুই বছরে তিনি কেন এত গুরুতর অসুস্থ হলেন।’

খালেদা জিয়ার রোগব্যাধির ভয়াবহতা এখন চরম পর্যায়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থারাইটিসে আক্রান্ত। কারাগারে যাবার পর তার যকৃতের রোগ (লিভার সিরোসিস) দেখা দিয়েছে। যে রোগের কারণে তার পোর্টাল হাইপারটেনশন, পেটে ও ফুসফুসে পানি আসা, অন্ত্রের রক্তরক্ষণ হচ্ছে, যার চিকিৎসা এ দেশে আর সম্ভব নয় বলে মেডিক্যাল বোর্ড ইতোমধ্যে পরামর্শ দিয়েছেন। তার রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে নেই। বারবার তাকে সিসিইউতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর