চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ পুরোপুরি শেষ হলে মূল সেতুতে প্রবেশ না করে পৃথক লেন দিয়ে পথচারীরা কর্ণফুলী পারাপারের করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
সোমবার সকালে দোহজারী-কক্সবাজার রেললাইন ও কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘একই ব্রিজ দিয়ে ট্রেন যায়, যানবাহন চলাচল করে, মানুষও চলাচল করে। সেই পথচারীদের জন্য আমরা আলাদা করে একটা লেন করে দিয়েছি। মূল ব্রিজের ভেতরে আসতে হবে না। এটি এর আগে ছিল না। আমরা আরও ৬ ফিট ওয়াকওয়ে করে দিয়েছি, সেটার কাজ হয়তো আরও এক-দুই মাস সময় লাগতে পারে।
‘আগে মূল ব্রিজের কাজ শেষ হোক, এটার পর ওয়াকওয়ের কাজটা শুরু হবে। ওটা হতে এক-দেড় মাস সময় হয়তো লাগতে পারে। এটা নতুন একটা সংযোজন হচ্ছে।’
দোহজারী-কক্সবাজার রেললাইনে পরীক্ষামূলক রেল চলাচলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা অনেক পুরোনো ব্রিজ। এখানে রেলপথের সঙ্গে সড়কপথও সংযুক্ত ছিল। আমাদের যে ইঞ্জিন ছিল, সেটি ১২ টনের ছিল। এটি আমরা জানি যে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এই কারণে এটার স্ট্রেন্থ (সক্ষমতা) যাতে বাড়ানো যায়, সে কারণে আমরা প্রকল্প গ্রহণ করেছি।
‘প্রকল্পের কাজ চলমান। আশা করছি যে এটার ওপর আমাদের মিটারগেজ যে ইঞ্জিন, যেটা ১৫ টন চলে, সেটা আগামী ৩০ বছর ঝুঁকিমুক্তভাবেই এটার ওপর দিয়ে চলতে পারবে।’
কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই ব্রিজটি বাদ দিয়ে নতুন একটি ব্রিজ-কালুরঘাট, আগামী বছর আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হবে। এটা এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। ডাবল লাইন রেলগেজ এবং ফোর লেনের সড়ক থাকবে একই ব্রিজের ওপর। কাজেই সেটি না হওয়া পর্যন্ত এই ব্রিজটি যেন আমরা ব্যবহার করতে পারি, সেভাবেই এটিকে তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ২ নভেম্বর আমরা এখানে আসব এবং ট্রায়াল রান করব। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১২ তারিখ উদ্বোধনের পূর্বেই এই রেললাইনটি ভালোভাবে তৈরি হয়েছে কি না সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হতে চাই।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা ব্রডগেজের ট্রেন এখন চালাতে পারছি না। আমরা ধীরে ধীরে এগুলোকে ব্রডগেজে রুপান্তর করব। আমরা খুব শিগগিরই চালাতে পারব না, কারণ মূল ফোকাসটা হচ্ছে ঢাকার সাথে।’
তিনি বলেন, ঢাকার সঙ্গে যদি যাই, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত আমরা ডুয়েল গেজ করেছি। এদিকে আবার দোহজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ডুয়েল গেজ করেছি। ভবিষ্যতে আবার দোহজারী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ করব। এরপর চট্টগ্রাম থেকে লাকসাম পর্যন্ত আমরা ডুয়েলগেজ করব। ওইদিকে আখাউড়া থেকে টঙ্গী পর্যন্ত আমরা ডুয়েল গেজ করব।
এ সময় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ রেলওয়ে ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।