‘আমি ফাটাকেষ্ট, তোমার বোনকে খুন করিয়াছি, লাশ দাফনের ব্যবস্থা কর।’
২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর স্ত্রীকে হত্যার পর তার ভাই জিয়াউর রহমানকে ফোন দিয়ে এভাবে বলেছিলেন স্বামী মজিবর রহমান।
সেই হত্যা মামলায় আসামি মজিবর রহমানের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ রায় দেন। আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত মজিবর রহমান জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার মথুরাপুর কুতুবডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রবিউল ইসলাম রবি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে উল্লেখ আছে, ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী কহিনুর বেগমের সঙ্গে তর্ক হয় মজিবর রহমানের। পরে তাদের সন্তানরা এগিয়ে গিয়ে ঝগড়া থামান। এরপর রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। রাতে স্ত্রী কহিনুর বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেন মজিব রহমান।
২৬ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কহিনুরের ভাই জিয়াউর রহমানকে ফোন দেন মজিবর। ওই সময় মজিবর বলেন, ‘আমি ফাটাকেষ্ট, তোমার বোনকে খুন করিয়াছি, লাশ দাফনের ব্যবস্থা কর।’
পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে বাবু মিয়া বাদী হয়ে বাবা মজিবর রহমানকে আসামি করে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন।
পিপি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সব সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আজকে (সোমবার) বিচারক রায় দিয়েছেন। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।’