বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কে কোন দল ভাবি না, সবার জন্য কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ ১৩:১৪

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সেবা দিচ্ছি মানুষকে। এ ক্ষেত্রে কে কোন দল করে, বিবেচনা করি না। সবাইকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। খালেদা জিয়াসহ বিএনপি জামায়াতের চিন্তার দীনতা আছে। যার কারণে এরা মানসিক দীনতায় ভোগে। এরা ভালো কিছু চিন্তা করতে পারে না।

দলমত নির্বিশেষে সরকার সবার জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে দেশের ৬৫টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি আই সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সেবা দিচ্ছি মানুষকে। এ ক্ষেত্রে কে কোন দল করে, বিবেচনা করি না। সবাইকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। খালেদা জিয়াসহ বিএনপি জামায়াতের চিন্তার দীনতা আছে। যার কারণে এরা মানসিক দীনতায় ভোগে। এরা ভালো কিছু চিন্তা করতে পারে না।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের জীবেনের চাহিদা, অন্ন বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা, সেই সঙ্গে সঙ্গে সড়ক যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে ২০০৯ থেকে উন্নয়ন করেছি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার মানুষকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি টিকা দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ধনী দেশগুলোও বিনা মূল্যে করোনার টিকা দেয়নি। কোটি কোটি টাকা খরচ করে আমরা বিনা মূল্যে টিকা দিয়েছি। তখন আমাদের রিজার্ভও ভালো ছিল।

সরকারপ্রধান বলেন, করোনাকালে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য আমাদের প্রতিটি নার্স-চিকিৎসককে আলাদা করে ভাতা দিতে হয়েছে। কারণ সেই সময়ে ভয়ে কেউই এগিয়ে আসতে চায়নি। এমনকি তাদের সুরক্ষায় পিপিইসহ বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী কিনে দিতে হয়েছে। করোনার টিকা দেওয়ার জন্য ভলান্টিয়ার তৈরি করতে হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে, আল্লাহর রহমতে আমাদের তেমন ক্ষতি হয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে আমরা ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছি। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রথম ৪ হাজার যখন চালু করি, তখন সেগুলো ৭০ ভাগের মতো সাফল্য অর্জন করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। খালেদা সরকার ক্ষমতা এসেই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। কারণ, এখানে যারা কাজ করবে, যারা সেবা নেবে, তারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবে, সুতরাং এগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা বিএনপির মতো এসব দৈন্য চিন্তা করি না। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি, সেগুলোতে দলমত নির্বিশেষে সব ধরনের মানুষ সেবা নিচ্ছে। বিএনপির চিন্তা দৈন্য আছে। তারা সব সময় স্বার্থপরতায় ভোগে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাতে কোনো ধরনের অবহেলা না হয়, সে ব্যবস্থা আমরা করে যাচ্ছি। বিশেষ করে, অন্ধজনের বিলাও আলো, এ কাজটা করছি। সারা বাংলাদেশে অন্ধত্ব দূর করতে মানুষকে সেবা দিচ্ছি। অন্ধত্বের হার ৩৫ শতাংশ কমিয়েছি। আরও কমাতে কাজ করছি।

বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পানির হাহাকার অনেক জায়গায়। আমরা ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে উদ্বৃত্ত থাকলে রপ্তানি করতে পারবো। বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমরা অনেক ভর্তুকি দেই। এটারও ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন। পাশাপাশি নদী খাল বিল সব কিছু যেনো দূষণমুক্ত হয়, খেয়াল রাখবেন। যেকোনো প্রকল্প প্রণয়নে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখবেন। জলাধার রাখবেন।

এদিন প্রধানমন্ত্রী সাত বিভাগে ২৮ জেলার ৬৫ উপজেলায় আরও ৬৫ কমিউনিটি আই সেন্টার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এ ছাড়াও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা আবুল বাসার খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল আই কেয়ার লাইন ডিরেক্টর এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফাসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে তিন ধাপে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় ১৩৫টি কমিউনিটি আই সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে।নতুন ৬৫টি কমিউনিটি আই সেন্টারের উদ্বোধনের মাধ্যমে সারা দেশে মোট ২০০টি কমিউনিটি আই সেন্টারের যাত্রা শুরু হলো।

এ বিভাগের আরো খবর