জামে মসজিদের ইমামকে পানিতে চুবানোর কথা স্বীকার করেছেন কুমিল্লার লালমাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফোরকান এলাহি অনুপম। এ ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে দায়িত্বে ফিরেছেন ভাটরা কাছারি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম আবুল বাশার।
রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা ইমাম সমিতি ও শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিলের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সুরাহা করেন জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান।
শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিলের সদস্য শামীম মজুমদার বলেন, ‘আমরা মনে করি ইউএনও সাহেব ভুল করেছেন। তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে ইমাম সাহেবকে পানিতে চুবানোর হুমকি দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
‘তবে ইমাম-মুয়াজ্জিনের চাকরিচ্যুতির পেছনে তার হাত নেই বলে জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক মহোদয় দুজনের সঙ্গে কথা বলে এটির সুন্দর সমাধান করে দেন। ইউএনও এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। ইমাম সাহেবও ইউএনও সাহেবকে ক্ষমা করে দেন।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, ‘এটি নিছক একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমরা বিষয়টির সমাধান করেছি। ইউএনও ইমাম সাহেবকে চাকরিচ্যুত করেননি, এটি আমরা নিশ্চিত হয়েছি।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) জুমার খুতবা শেষ হওয়ার পর ইমামের পেছনে বসে ছিলেন লালমাই-এর ইউএনও ফোরকান এলাহি অনুপম। পরিচয় না জানায় ইকামত দেয়ার আগে ইউএনওকে সরে বসতে বলেন ইমাম-মুয়াজ্জিন। তাতে ইউএনও তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। ইমামকে ডেকে নিয়ে তাকে পানিতে চুবানোর হুমকি দেন। এরপর ইমাম-মুয়াজ্জিনকে চাকরিচ্যুত করেন পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল্লাহ।