রাজধানীর উত্তর মুগদার একটি বাসা থেকে মো. রুবেল মিয়া নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত ১০টার দিকে ২৮ বছর বয়সী রুবেল আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ এনামুল করিম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে উত্তর মুগদাপাড়া একটি বাসার চতুর্থ তলা থেকে রুবেলের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তার পরিবারের সদস্যদের কাছে থেকে জানতে পারি রুবেল অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন ও সে একটি দোকানে কর্মচারী ছিলেন। ওই দোকানের মালিকের কাছে রুবেল ঋণগ্রস্ত ছিলেন। সে মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্থ থাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’
রুবেলের ছোট ভাই সুমন জানান, তারা দুই ভাই মুগদা ঝিলপাড় এলাকায় একটি দোকানে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন। গত কোরবানির ঈদের আগে ওই দোকানের মালিক জানান রুবেল তার দোকানের ক্যাশ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার হিসাব মেলাতে পারেননি। এ ছাড়া আগেও ১ লাখ টাকা রুবেলের কাছে পাওনা রয়েছে মালিকের। এই টাকা-পয়সার জন্য বিভিন্ন সময়ে রুবেলকে চাপ দিতেন দোকানের মালিক। এর আগে দোকান মালিককে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতি মাসে রুবেলের বেতন থেকে ৪ হাজার টাকা কেটে নিতেন দোকান মালিক। এই নিয়ে তার ভাই মানসিক চাপের মধ্যে থাকায় ওই বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার বেলাবো থানার লতিফপুর গ্রামে। বর্তমানে মুগদার উত্তর মুগদাপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতাম দুই ভাই।’