রাজধানীর ফার্মগেটে ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধন হয়েছে রোববার দুপুরে। একইসঙ্গে পাশে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে একটি পুলিশ বক্সও উদ্বোধন করা হয়েছে।
এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। আর প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলামের একটি বক্তব্য বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি কয়েক দিন আগে একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্স উঠিয়ে দিয়েছিলাম। কারণ হচ্ছে, সেখানে ৮ ইঞ্চি ঢালাই দিয়ে পুলিশ বক্সটি বানানো হয়েছে। অথচ সিটি করপোরেশন আগে থেকে বিষয়টি জানতো না।’
অসন্তোষ প্রকাশ করে মেয়র আতিক বলেন, ‘এখন ব্যাঙের ছাতার মতো মোড়ে মোড়ে বিজ্ঞাপন নিয়ে পুলিশ বক্স উঠে যাচ্ছে। এতে শহরটা নষ্ট হয়ে যায়। শহরটা দেখতে ভালো লাগে না। আপনাদের বলতে চাই, যেখানে পুলিশ বক্স বসাবেন সেটি ডিএমপি কমিশনারের মাধ্যমে বা এডিশনাল কমিশনারের মাধ্যমে আমাদের জানালে আমরা নন্দিত পুলিশ বক্স বানিয়ে দেবো।
‘ঢাকা শহরে যতগুলো পুলিশ বক্স আছে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে আলাপ করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন প্রতিটিই করে দেবে।’
ব্যাঙের ছাতার মতো মোড়ে মোড়ে বিজ্ঞাপন নিয়ে পুলিশ বক্স উঠে যাচ্ছে- মেয়রের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের নিরাপত্তার পাশাপাশি যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। তাদের (ট্রাফিক পুলিশ) কথাও আমাদের চিন্তা করতে হবে। তাদের যেন অসুবিধা না হয় সেজন্যই ছোট ছোট পুলিশ বক্স তৈরি করা হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘মেয়র মহোদয় যেটা বলেছেন, সেগুলো (পুলিশ বক্স) পাল্টে তিনি দৃষ্টিনন্দন পুলিশ বক্স তৈরি করে দেবেন। এটাই তিনি বলতে চেয়েছেন। আমিও ওনাকে (মেয়র) রিকোয়েস্ট করছি, যতগুলো বক্স রয়েছে, সেখানে আপনি এই ব্যবস্থা নেবেন।’
অনুষ্ঠানে মেয়র আতিককে উদ্দেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘সবাই বলে ঢাকা সিটিতে দুই কোটির উপরে মানুষ বসবাস করে। কিন্তু পর্যাপ্ত ওয়াশরুম আমাদের রাস্তাঘাটে নেই। আপনার কাছে রিকোয়েস্ট থাকবে, আমাদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অন্ততপক্ষে টয়লেটের ব্যবস্থা রাখবেন, যাতে পথচারীদের বিড়ম্বনায় পড়তে না হয়।’
ফার্মগেটের আনোয়ারা উদ্যান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মেয়রের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই- এখানে অনেক মার্কেট হয়েছে। মার্কেটের জন্য আরও বহু জায়গা রয়েছে। এখানে মেট্রোরেল এসেছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এসেছে। কাজেই এখানে আর ইমারত নয়, এখানে একটা বাগান থাকবে। এবং আমাদের এই আনোয়ারা বেগমের নামেই বাগানটি হবে। এটা আমরাও চাই।’