আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের এক্সপার্ট দল পাঠাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসভবনে রোববার ইইউভুক্ত ১০টি দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান।
তিনি বলেন, ‘ইইউ এটা ঘোষণা করেছে যে, তারা একটা ছোট আকারের এক্সপার্ট গ্রুপ নির্বাচনকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য পাঠাবে।’
ফারুক খান জানান, আগামী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান জানতে চেয়েছে ইইউ।
তিনি বলেন, ‘কী চিন্তায় অগ্রসর হচ্ছে তা জানতে চেয়েছে ইইউ সদস্যরা। আমরা বলেছি আমাদের সংবিধান অনুযায়ী কিছুদিনের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন তাদের তফসিল ঘোষণা করবে। আমরা আমাদের শিডিউল মোতাবেক নির্বাচন করব।
ফারুক খান বলেন, ‘আজকের আলোচনার মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, আমরা যেই সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাচ্ছি সেটাই তারা চাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা কী কী করব সেটাও তারা জানতে চেয়েছে তারা।
‘বিএনপির দাবিকৃত কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানান আওয়ামী লীগের এ নেতা।’
তিনি বলেন, ‘তবে বিএনপি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল, তারা আগামী নির্বাচনে আসবে বলে আমরা আশা করি। বৈঠকে সংলাপের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলের এ সদস্য।’
ফারুক খান আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করলে দেশকে কীভাবে চালাবো, সে বিষয়টিও জানতে চেয়েছে ইইউর সদস্যরা। সে বিষয়ে তাদেরকে আমরা অবগত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনের ইশতেহার কি রকম হবে তারা জানতে চেয়েছেন। আমরা তাদের ব্যাখ্যা করে বলেছি যে, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দুইটা দিক থাকবে। প্রথম অংশে গত নির্বাচনে ইশতেহারে যে কমিটমেন্ট ছিল, সেই কমিটমেন্ট কতটুকু আমরা পূরণ করেছি তা জনগণকে জানাব।’
ফারুক খান বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছর আমরা কী করতে চাই সেটা ইশতেহার থাকবে। আমাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে, তারা এটা নিয়ে কাজ করছেন। সে কাজ শেষ হলে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সেটি প্রস্তাবিতভাবে উপস্থাপন করা হবে। বৈঠকে পাস করা হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তা জনগণকে জানিয়ে দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের খুব ভালো মিটিং হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ যেই ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক তা খুবই চমৎকার। কিছুদিনের মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ব্রাসেলসে যাচ্ছেন। সেখানে আমাদের মধ্যে পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট হবে। এ কথাগুলো তারা বৈঠকের প্রথমেই বলেছেন।’