বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পর্দার আড়ালে আসলে কিছুই ঘটেনি: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ১৬:৫৫

খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে নেত্রী গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আজীবন ত্যাগ স্বীকার করে আসছেন, তিনি আজ বন্দি। আজকে এই অনশনে সব রাজনৈতিক দল স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে এবং তারা শপথ নিয়েছে- এই সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবে না।’

তলে তলে আসলে কিছুই হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘তলে তলে সব হয়ে গেছে’- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার ইঙ্গিত দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি আয়োজিত গণঅনশন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারের পদত্যাগের বিষয়ে গণতান্ত্রিক বিশ্ব তাদের অবস্থানে অটল। অর্থাৎ পর্দার আড়ালে আসলে কিছুই ঘটেনি।’

খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে নেত্রী গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আজীবন ত্যাগ স্বীকার করে আসছেন, তিনি আজ বন্দি। আজকে এই অনশনে সব রাজনৈতিক দল স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে এবং তারা শপথ নিয়েছে- এই সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবে না।’

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এরা সরকার নয়, এরা শাসক। এরা ভয়ানক দল। এরা ঘোষণা দেয়- বিএনপি আমাদের শত্রু। একটি রাজনৈতিক দল একথা বলতে পারে না। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল হতে পারে না। এরা কমান্ডো কায়দায় আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তি অবিচ্ছেদ্য অংশ। খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। আজকে দেশকে বাঁচাতে হলে, অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই।'

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। তাই পূজায় আমরা কোনো কর্মসূচি রাখিনি। সরকারের লোকেরা নিজেরা পূজামণ্ডপে হামলা চালিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপাবে। এগুলো তাদের অতীত ইতিহাস। তারপরও গতকাল তারা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্যপরিষদের সভায় হামলা চালিয়েছে।’

গণঅনশন কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হত্যা করার জন্য। তাকে ভুয়া মামলায় আটক করা হয়েছে। একই মামলায় আ স ম রব, মায়া চৌধুরী, হাজী সেলিমসহ সবাইকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

সরকারকে উদ্দেশ করে করে তিনি বলেন, ‘এখনও সময় আছে খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান। বিদেশে পাঠালে তাকে যে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে তার জন্য হয়ত মাফ করে দেবো। যদি না পাঠান তাহলে এই স্লো পয়জনিংয়ের জন্য নতুন প্রজন্ম আপনাদের ক্ষমা করবে না।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শেখ হাসিনা কখনও খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা করতে দেবেন না। তাকে আটক করা হয়েছে হত্যা করার জন্য।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘একজন মানুষ অসুস্থ হলে তার সুচিকিৎসার অধিকার রয়েছে। কিন্তু দেশনেত্রীকে এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এবারের লড়াই বেঁচে থাকার লড়াই, সবার লড়াই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই।’

আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘আমরা স্বৈরাচারী সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে আটক করে রেখেছে সেটা হতে পারে না। এরা দেশে বাকশালী শাসন কায়েম করেছে। এর বিরুদ্ধে আজ সবাই এক হয়েছে। এ অবস্থা দেশের মানুষ মেনে নিতে পারে না। এরা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এরা যে লুট ও দুর্নীতি করেছে তা শুধু দেশের মানুষ নয়, সারা পৃথিবীর মানুষ জেনে গেছে।’

সেলিমা রহমান বলেন, সারাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ। এ সরকারকে বিদায় করার জন্য দেশবাসী প্রস্তুত। এখন প্রয়োজন শুধু নির্দেশের। নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ দেশে এমন আন্দোলন শুরু হবে যাতে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের মসনদ ভেঙে তছনছ হয়ে যাবে।’

সভাপতির বক্তব্যে আব্দুস সালাম বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে খালেদা জিয়াকে বাঁচানো যাবে না, দেশ বাঁচানো যাবে না। দেশকে বাঁচাতে হলে এ সরকারকে বিদায় করতে হবে।’

অনশন ভঙ্গ করা অলি আহমদ

বেলা ১১টার দিকে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু হয়। বেলা ২টায় গণঅনশন শেষ হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি অলি আহমদ জুস পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান।

অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আনোয়ার উল্লাহ স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের জুস পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান।

এর আগে গণঅনশন কর্মসূচিতে অলি আহমদ বলেন, ‘আজকে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ভিক্ষা চাওয়া হচ্ছে। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক রাখা হয়েছে। কারণ বেগম জিয়া বাইরে থাকলে এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।

‘৮৫ বছর বয়সেও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছি। আজ তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে দেশকে রক্ষা করার জন্য।’

এ বিভাগের আরো খবর