নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জের নিতাই উচ্চ বিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি মাঈনুল আরেফীন নিয়াজ চৌধুরীর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছে বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও সাবেক সভাপতি মো. তৌহিদুর রহমান।
তার ভাষ্য, গত সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখ রাতের আধারে গাছ কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা গাছগুলো নেই। শুধু রয়েছে গাছের মূল শেকড়।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবদুস ছালামের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনিও বিষয়টি এড়িয়ে যান। কথা বলেননি সংবাদকর্মীদের সঙ্গে।
কাজ আছে বলে দ্রুত স্কুল থেকে বের হয়ে যান।’
গাছ কাটার বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, ‘রাতের আধারে কারা যে গাছ কেটে নিয়ে গেছে কেউ বলতে পারে না। তবে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার প্রায় এক মাস হয়ে গেছে, তবুও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীরব রয়েছে।
বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও সাবেক সভাপতি তৌহিদুর রহমান বলেন,
‘বিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি নিয়াজ চৌধুরী রাতের আধারে সব গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি সভাপতি হওয়ার পর বিদ্যালয়ে নানা রকম অনিয়ম করেই যাচ্ছেন।
‘বিদ্যালয়ের মূল ফটক, প্রতিষ্ঠাতার নামও ভাঙচুর করেন তিনি। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভা ছাড়াই রাতের আধারে গাছ কেটে বিক্রি করেন। আমি প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম কিন্তু নিয়াজের ভয়ে তিনি কিছু বলতে চান না। তাই বিদ্যালয়ের জমিদাতা হিসেবে জেলা প্রশাসক ও ইউএনও বরাবর তার নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেই।’
অভিযোগের বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ে আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি মাঈনুল আরেফীন নিয়াজ চৌধুরীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘গাছ কাটার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’