কক্সবাজারের পেকুয়ায় আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী নেজামুল ইসলাম মোজাহিদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫।
পেকুয়ার মগনামা এলাকা থেকে ১৩ অক্টোবর মধ্যরাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন পেকুয়ার মগনামার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আফজলিয়াপাড়ার নেজামুল ইসলাম মুজাহিদ, আমিরুজ্জামান ও জামিল ইব্রাহিম ছোটন।
র্যাব-১৫ এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ. এম সাজ্জাদ হোসাইন শনিবার দুপুর ১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ১০ অক্টোবর বেলা ৩টার দিকে পেকুয়ার মগনামা আফজলিয়াপাড়ায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে আবু ছৈয়দকে কুপিয়ে হত্যাসহ তার একটি পা কেটে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আবু ছৈয়দের স্ত্রীসহ চারজন গুরুতর আহত হন।
তিনি আরও জানান, ১১ অক্টোবর নিহতের ছেলে ছৈয়দ মোহাম্মদ ইমন বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম, অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় মামলা করেন।
র্যাব-১৫ এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ. এম সাজ্জাদ হোসাইন জানান, ১৩ অক্টোবর মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ এর কক্সবাজারের একটি চৌকস আভিযানিক দল পেকুয়ার মগনামা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই নম্বর আসামি ও প্রধান পরিকল্পনাকারী নেজামুল ইসলাম মোজাহিদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঘটনার ৩ দিন আগে হত্যাকারীরা নিজেদের মধ্যে গোপন সভা করে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন। ১০ অক্টোবর বেলা ৩টার দিকে আবু ছৈয়দ তার শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেখানে হানা দেয়।
র্যাব আরও জানায়, একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আবু ছৈয়দকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। প্রাণ বাঁচাতে আবু ছৈয়দ খাটের নিচে ঢুকে পড়লে সেখান থেকে তাকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে হাত-পা চেপে ধরে কুপিয়ে তার ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যান তারা। পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় পথে আবু ছৈয়দের মৃত্যু হয়।