আদালতে দাঁড়িয়ে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি তাকে নির্যাতন করা হয়েছে জানিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তাকে অসত্য দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো অসত্য। তার দরজাও ভাঙা হয়নি। কোর্টকে আকৃষ্ট করার জন্যই এই কথাগুলো বলা হয়েছিল।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় শুক্রবার সকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিকদের কাছে উল্লিখিত দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
চারুকলার বকুলতলায় শরৎ উৎসবের আয়োজন করে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
অনুষ্ঠানে এ্যানির গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতা এ্যানির বাড়ি লক্ষ্মীপুরে। সেখানে দুইটি মামলায় তার ওয়ারেন্ট হয়েছিল। তিনি সেটা জানতেন। এরপর ঢাকা থেকেও একটা মামলা হয়েছে। সেটাও তিনি জানতেন।
‘যারা এজাহারভুক্ত আসামি বা যাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হয়ে যায়, তারা কিন্তু কোর্টে গিয়ে জামিন নিয়ে নেন। তারও উচিত ছিল এটা করা। এ্যানি সাহেব জামিন না নেয়াতে পুলিশ তাকে ধরতে যায়। এটা পুলিশের কর্তব্য।’
রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে আটকের পর বুধবার নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এ্যানিকে। ওই দিন ঢাকার মহানগর হাকিম রশিদুল আলমের আদালতে হাজির করা হয় বিএনপির এ নেতাকে।
আদালতে শুনানির সময় এ্যানি তার ওপর নির্যাতনের অভিযোগ করেন। বিচারকের সামনে কেঁদে এ্যানি বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি। কোনো অপরাধ করলে গ্রেপ্তার করবে, কিন্তু আমাকে থানায় নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে।
‘আমরা কোন যুগে বসবাস করছি? আমি কি চোর না ডাকাত? আমি এর বিচার চাই।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাকে (এ্যানি) বলা হয়েছিল, দরজাটা খুলে দেয়ার জন্য। তার আত্মীয়স্বজনও তাকে সেটা বলেছে, কিন্তু সে দরজা না খোলাতে দরজাটা একটু জোর করে ধাক্কা দিয়ে খোলা হয়েছে। দরজাটা কিন্তু ভাঙেনি।’
তিনি বলেন, “তিনি (এ্যানি) কোর্টে যেটা বলেছেন সেটা অসত্য। কারণ তিনি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা থানার কেউ তার ওপর অত্যাচার করেছে। থানায় সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। সেখানেও আমরা কোনো আলামত খুঁজে পাইনি।
“আর আমাদের যিনি কোর্ট ইন্সপেক্টর, তিনি খুব সুন্দরভাবে এটার জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মাননীয় আদালত, যেই সাদা পোশাক পরে উনাকে ধরে আনা হয়েছে, সেই সাদা পোশাক এখনও উনি পরিচিত অবস্থায় আছে। সেটার কোনো জায়গায় কোনো রকমের দাগ বা আঘাতের চিহ্ন নেই।’ কাজেই এগুলো সব অসত্য কথা। কোর্টকে আকৃষ্ট করার জন্যই এই কথাগুলো বলা হয়েছিল।”