যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কিছুই জানেন না দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা দেবে কি দেবে না জানি না। তবে তাদের সঙ্গে আমাদের প্রচুর আলোচনা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী মন্ত্রী আফরিন আক্তারের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো দেশেই সফল হতে পারেনি।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল না এলে অনুরোধ করা হবে না বলে জানান ড. মোমেন। তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল এলে ভালো, না এলে আমরা তাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করব না। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে।
‘আমরা কারও দলে নেই, কারও লেজুড় হতে চাই না। আমরা ছোট দেশ হয়েও বড় দেশের কথা শুনি না। আমরা তাদের জিনিস কিনি না, এজন্য একটু বেড়াজালে আছি। তবে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
মোমেন বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, যারা বিদেশিদের কাছে ভুল তথ্য তুলে ধরে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমেরিকার অ্যাকশন সিকিউরিটি অফিসার সদলবলে আসেন। অ্যাডভাইজারও ছিলেন। তারা মাঝপথে থেমে গেছে বলে যে সংবাদ বেরিয়েছে, তা মিথ্যা ও বানোয়াট।’
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভিসামুক্ত ভ্রমণে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন বলে ব্রিফিংয়ে জানান ড. আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, “কলম্বোতে ইন্ডিয়ান ওশান রিম-আইওরার সম্মেলনের সাইড লাইনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাকে বলেছি, ‘আপনারা অনেক ভিসা দেন। কিন্তু ভিসা পেতে এখন দেরি হচ্ছে। মেডিক্যাল ভিসার ক্ষেত্রেও দেরি হচ্ছে।’ তখন তিনি জানিয়েছেন- এ বিষয়ে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে আলাপ করবেন।
“এটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে বলেও জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে তিনি না বলেননি।”
মোমেন বলেন, ‘সিলেটে কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সংলাপ হয়েছে। সেখানে দুই দেশের মধ্যে ভিসামুক্ত ভ্রমণের জন্য প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা দুই দেশের মধ্যে ভিসামুক্ত যাতায়াত চাই।’