মেহেরপুরে প্রেমিকার বাড়ির কুয়ার ভেতর থেকে প্রেমিকের গলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রেমিকা সাবিনা খাতুনকে মামলার প্রধান আসামি করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
প্রায় এক মাস আগে লাল্টু নামের ওই যুবক নিখোঁজ হওয়ার পর গাংনী থানায় পুলিশি হেফাজতে থাকাকালে প্রেমিকের মরদেহের খোঁজ দেন গৃহবধূ সাবিনা। তার স্বীকারোক্তির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের অভিযানে লাল্টুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরপর বুধবার রাতেই লাল্টুর ছোট ভাই পল্টু বাদী হয়ে গাংনী থানায় সাবিনা খাতুনকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা করলে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজ কুমার নন্দী বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য লাল্টুর মরদেহ আজ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
ওসি বলেন, ‘নিহতের ছোট ভাইয়ের করা মামলার প্রধান আসামি হিসেবে সাবিনাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে সাবিনা বলছেন, তিনি লাল্টুকে হত্যা করেননি। লাল্টু তার বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা করলে ভয়ে তার মরদেহ কুয়ার মধ্যে ফেলে লুকানোর চেষ্টা করেন।’
ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটনে পুলিশের তদন্ত চলমান বলে জানান এ কর্মকর্তা।