টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির ৪০ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
টাঙ্গাইল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান নূর বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের জামিন আবেদন গ্রহণ না করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালপুর উপজেলা বিএনপির ৪০ জন নেতা-কর্মী আদালতের জামিন নিতে আসলে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, ‘এই গায়েবি ও মিথ্যা মামলায় আদালত ৪০ জনকে কারাগারে পাঠালো অথচ হাইকোর্ট থেকে এই মামলায়ই জামিন পেয়েছিলেন ওই নেতা-কর্মীরা। নিপীড়ন-নির্যাতনের নীতি অবলম্বন করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিশ্চিহ্ন করার পায়তারা চলছে।
‘বিএনপির কর্মসূচিগুলোতে বিপুল জনসমাগম দেখে সরকার দিশেহারা বলেই জামিন বাতিলের হিড়িক পড়েছে। গ্রেপ্তার, জামিন বাতিল ও নির্যাতন করে আন্দোলনকে দমানো যাবে না। অবিলম্বে কারাবন্দি সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তির জোর দাবি জানাই।’
গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিক উদযাপন অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইলের গোপলপুর উপজেলা বিএনপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে ওই ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৬১ জন নেতা-কর্মীদের আসামি করে মামলা করা হয়। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে ২৮ দিনের জামিন পান ওই মামলার আসামিরা।
কারাগারে পাঠানো বিএনপি নেতাদের মধ্যে নগদা শিমলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু হানিফ কিসলু, ইউনিয়র সেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক আলম খান, যুবদলের সদস্য সচিব হারুন, শ্রমিকদলের সদস্য সচিব জাফর মিয়া ও উপজেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক বদিউজ্জামান বাদল অন্যতম।