বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আপিল করার শর্তে দণ্ডিত সাবেক বিচারকের জামিন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১২ অক্টোবর, ২০২৩ ১৫:১৬

আদালতে সোহেল রানার পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও বিচার কাজ চালিয়ে নেয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগে কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানাকে একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেয়ার তিন ঘণ্টার মাথায় তাকে জামিন দিল হাইকোর্ট। সাজার বিরুদ্ধে আপিল করার শর্তে তাকে এক মাসের জামিন আদেশ দিয়েছে আদালত।

আদালতে সোহেল রানার পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে আদালত অবমাননার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে একমাসের সাজার আদেশ দেয়।

রায়ে সোহেল রানাকে সাত দিনের মধ্যে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

আদালতে বিচারক সোহেল রানার পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। আর আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী প্রণয় কান্তি রায়।

আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী প্রণয় কান্তি রায় বলেন, ‘তিনি (বিচারক সোহেল) উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করেছিলেন একং আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছিলেন। মাননীয় হাইকোর্ট বেঞ্চ তার নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা গ্রহণ না করে তাকে (বিচারককে) একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে।’

কুমিল্লার সাবেক এই চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত আছেন।

মামলা থেকে জানা যায়, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে মামুন চৌধুরী ও রিয়া আক্তার দম্পতির নামে ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা হয়।

মামলাটির কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে মামুন-রিয়া দম্পতির করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেয়। একই সঙ্গে মামলাটির কার্যক্রম চার মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের এই স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও কুমিল্লার তৎকালীন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা গত ১০ এপ্রিল মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনকালে আদালতে মামুন উপস্থিত ছিলেন। রিয়া অনুপস্থিত থাকায় তাকে পলাতক ঘোষণা করে আদালত।

এ অবস্থায় উচ্চ আদালতে বিষয়টি জানিয়ে আবেদন করেন মামুন।

তার আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট সোহেল রানাকে তলব করে। উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষার বিষয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গত ২১ আগস্ট তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়। ধার্য তারিখে তিনি হাইকোর্টে হাজির হন। পরবর্তী সময়ে জবাব দাখিল করেন, তবে তার জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি হাইকোর্ট। পরে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে। সেই রুলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় উচ্চ আদালত।

গত ৩১ আগস্ট বিচারক সোহেল রানা যে মামলায় অভিযোগ গঠন করেছিলেন সেটি প্রত্যাহার করা হয়।

এ ছাড়া বিচারক সোহেল রানাকে বদলি করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর