নীলফামারীর জলঢাকায় আমেনা আক্তার নামে এক শিশুকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডার তিস্তা নদীর চর থেকে বুধবার বিকেলে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাণ হারানো শিশু আমেনা আক্তার উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের চর হলদিবাড়ি গ্রামের আলকাজ আলীর মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকেল ৫টার দিকে বাড়ির বাইরের আঙ্গিনায় প্রতিদিনের মতো খেলাধুলা করতে যায় শিশু আমেনা। সারাদিন রোজা থাকায় আমেনার মা নার্গিস বেগম সন্ধ্যায় রান্নাঘরে ইফতার করতে যান। ইফতার শেষে নামাজ পড়তে যাযন। তখনও আমেনা উঠানেই খেলছিল। নার্গিস বেগম নামাজ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উঠানে এসে দেখেন আমেনা নেই। আমেনাকে না পেয়ে সবাই মিলে বিভিন্ন জায়গায়, এমনকি বাড়ির পাশের পুকুরে নেমেও খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু আমেনাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, পরে আমেনার বাড়িতে অপহরণকারীরা কল করে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা পাঠানোর কথা বলে। আর তা না করলে আমেনাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তখন অপহরণকারীদের কথা মতো এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে রাজি হন শিশুটির বাবা আলকাজ আলী। এরপর অপহরণকারীরা শিশুটির ঘুমন্ত ছবি তার বাবার মোবাইলের ইমুতে পাঠায় ও মুক্তিপণ দাবি করে। পরে শিশুটির পরিবার সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পায়। এরপর বুধবার বিকেলে জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডার তিস্তা নদীর চর থেকে শিশু আমেনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আমেনার বাবা আলকাজ আলী বলেন, ‘আমি তো তাদের কথা মতো টাকা দিতে রাজি ছিলাম। তাহলে আমার মেয়েটাকে কেন মেরে ফেলল। আমি বিচার চাই।’
জলঢাকা থানার ওসি মুক্তারুল আলম জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হবে।