মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সংহতি সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে রাবি শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস, বাংলাদেশে ইসরায়েলের সংশ্লিষ্ট সব পণ্য ব্রান্ডকে অবৈধ ঘোষণার দাবি জানিয়ে প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বায়তুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের স্মৃতিবিজড়িত পবিত্র স্থান। আমরা শুধু ফিলিস্তিনিদের পক্ষে না, আমরা সব নির্যাতিত মানুষের পক্ষে। ফিলিস্তিনের মানুষ দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর যখন প্রতিবাদ করেছে, তখন পশ্চিমা বিশ্ব তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী আখ্যা দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে সমাবেশে অংশ নিয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘মজলুমের সঙ্গে জালেমের সংঘাত হচ্ছে ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাত। এর পেছনে ভূ-রাজনীতি, ধর্মীয় বিষয় এবং আন্তর্জাতিক স্বার্থ জড়িত। ইহুদিরা ফিলিস্তিনের মধ্যে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি নিপীড়কের ভূমিকা পালন করছে।’
আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু মানবাধিকারকর্মীরা চেয়ে চেয়ে দেখছে। মুসলিমরা তাদের অধিকার নিয়ে কথা বললেই তথাকথিত মানবাধিকার কর্মীরা মুসলিম বাহিনীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেন। গাজাবাসীর হারানোর কিছু নেই। ইহুদিরা প্রতিবার সিয়াম সাধনার সময় একবার হলেও হামলা করে৷ আজকের এই লড়াই কোনো জাতি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়, এটি মানবতার পক্ষে লড়াই।’
তিনি বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য দেশের প্রতি আহবান জানান অস্ত্র দিয়ে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী ও স্বাধীনতাকামী মানুষের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য।
আরবি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় বেশ কিছু শিক্ষার্থী সমাবেশে বক্তব্য দেন। সমাবেশে কয়েক শ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।