স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার সার্বিক সক্ষমতা সরকারের আছে কী না তা জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সক্ষমতা, কোনো দল নির্বাচনে তাদের দল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মনে করলে তাদের জন্য নিরাপত্তা কেমন হবে এবং জরুরি সেবা ৯৯৯-এর ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক দল জানতে চেয়েছে।
সরকার সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে কী না- পর্যবেক্ষক দলের এমন প্রশ্নে তাদের কী জানানো হয়েছে?
জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলেছি অবশ্যই পারব। আমাদের দেশের পুলিশ জানে কীভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমাদের এ বাহিনীর পাঁচ হাজারের বেশি নির্বাচন পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
‘নির্বাচনে পুলিশের পাশাপাশি আনসার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে। বিজিবি, কোস্টগার্ড এবং প্রয়োজনের তাগিদে সেনা সদস্যরাও কাজ করবেন।’
মন্ত্রী জানান, বৈঠকে কোনো অভিযোগের বিষয়ে কথা হয়নি। এমনকি তারা নিজেদের পর্যবেক্ষণের ব্যাপারেও কিছুই জানাননি।
পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা বাংলাদেশের ক্রিকেট-ফুটবলের ব্যাপারেও খোঁজ-খবর নেন এবং এ ব্যাপারে প্রশংসা করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বার বার যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন প্রতিনিধি দল আসার বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাইকে স্বাগত জানাই।’
আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি মনে করি নির্বাচনের সময় তাদের (বিএনপি) প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের সুযোগ নেই। আমাদের কমিটমেন্ট হচ্ছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়া। সংবিধান অনুযায়ী আমাদের নির্বাচন হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ কোনো ধরনের সংঘাত-সংঘর্ষ চায় না। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি সবাই পরীক্ষিত। নির্বাচনে ছয় লাখ আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পুলিশ বেশি নিয়োজিত থাকবে না। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকেও নিয়োজিত করা হবে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি চান নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে নির্বাচন হবে। আমাদের গণমাধ্যম পুরোপুরি স্বাধীন। এখানে দুর্নীতি ও ভোট চুরি করে কেউ পার পাবে না।’