বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিচারকের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১০ অক্টোবর, ২০২৩ ২৩:০৫

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘এই বিচারক যা বলেছেন তাতে তার শপথ ভঙ্গ হয়েছে। একজন বিচারকের এ ধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক এবং গর্হিত। আশা করি প্রধান বিচারপতি ব্যবস্থা নেবেন।’

‘দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন’ মন্তব্য করা হাইকোর্টের এক বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

এ সংক্রান্ত খবরের প্রতিবেদন প্রধান বিচারপতির কাছে পৌঁছে দিয়ে মন্তব্যকারী বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের জামিন শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ করে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক আজাদ ‘দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন’ বলে মন্তব্য করেন।

সেই মন্তব্যের সংবাদ প্রকাশের পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘এই বিচারক যা বলেছেন তাতে তার শপথ ভঙ্গ হয়েছে। তিনি যে সংবিধানের আলোকে শপথ নিয়েছেন, সে শপথ তিনি ভঙ্গ করেছেন। একজন বিচারকের এ ধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক এবং গর্হিত। এটা সমর্থনযোগ্য নয়।’

আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আশা করি প্রধান বিচারপতি ব্যবস্থা নেবেন। কারণ এই কথা বললে দেশের মানুষের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা হতে পারে, যেটা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। আমি মনে করি তিনি যেহেতু সংবিধানের বাইরে গিয়ে কথা বলেছেন, অসাংবিধানিক কথা ব্যবহার করেছেন। এরই মধ্যে পত্রিকার কপি মাননীয় প্রধান বিচারপতির কাছে পৌঁছে দিয়েছি।’

তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় অধিকারের আদিলুরসহ দুই বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দু’জনকে জামিন দেয় আদালত। একইসঙ্গে দণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়।

এ সময় আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, ‘দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন।’

শুনানির শুরুতে আদিলুর-এলানের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী উপস্থিত হন। তখন রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল করিম জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদেরও বক্তব্য আছে।’

তখন হাইকোর্ট বলে, ‘আসামিদের আইনজীবীদের আগে বলতে দিন। আপনি এখন লাফ দিয়ে উঠছেন কেন?’

তখন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় আসামিদের দুই বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। রায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

এ সময় আবারও জামিনের বিরোধিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম।

তখন আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তাহলে তাদের ২ বছরের সাজা দিলেন কেন? যাবজ্জীবন দণ্ড দিতে পারলেন না?’

এরই এক পর্যায়ে আদালত বলে, ‘দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন।’

প্রসঙ্গত, মন্তব্যকারী বিচারক ১৫ অক্টোবর অবসরে যাবেন। তিনি ২০০৪ সালে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এরপর ২০০৬ সালে তিনি স্থায়ী হন।

এ বিভাগের আরো খবর