সিলেটের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ছয় গরিব পরিবারের টিনের বসত-ঘর পুড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আংশিক বালিগাঁও গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- কামাল মিয়া, রঙ্গি বিবি, হালিমা খাতুন, রুনা বেগম, মতিন মিয়া ও হাবিবুর রহমান।
জানা যায়, দুপুরে রান্নার চুলা অথবা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হাবিবুর রহমানের ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী ও কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
ক্ষতিগ্রস্তদের একজন বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে আমরা ৯৯৯-এ কল দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাহায্য চাই। মুহূর্তেই ঘরের আসবাবপত্রসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এমনকি পরনের কাপড়গুলোও পুড়ে গেছে। আর কিছু রইলো না। আমাদের সব পরিবার মিলে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রইছ আল রেজওয়ান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ বলেন, ‘খুব খারাপ লাগছে, এতগুলো পরিবারের সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আপাতত উপজেলা প্রশাসন থেকে তাদের সহযোগিতা করা হয়েছে। আমার পৌরসভা থেকে তাদের ছয় পরিবারকে সসর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।’
কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মরত ইনচার্জ ফয়েজ আহমেদ জানান, ঘটনার পর পরই তাদের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি তারা।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে প্রাথমিক অবস্থায় দুর্যোগ ও ত্রাণ তহবিল থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে সহযোগিতা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরও সহায়তা দেয়া হবে।’