মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে।
উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের পীরতলা গ্রামে ছানারুল হকের নিজ বাড়িতে সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মানসিক ভারসাম্যহীন ১৫ বছর বয়সী সম্রাট আলী ওই এলাকার কৃষক ছানারুল হক ও আহত রোকেয়া খাতুনের ছেলে।
৪৫ বছর বয়সী আহত রোকেয়া খাতুনকে প্রথমে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
সম্রাটের বাবা ছানারুল হক বলেন, ‘গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে আমার স্ত্রী বাড়িতে একাই ঘুমিয়ে ছিল। ওই সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় আমার ছোট ছেলে সম্রাট গরুর গোয়ালে থাকা ঘাস কাটা দাশা (ঘাস কাটার সরঞ্জাম) দিয়ে তার মাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
‘তখন আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আইরিন খাতুন তা দেখে চিৎকার করে উঠলে বাড়ির বাইরে থাকা লোকজন ও স্বজনরা গিয়ে আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে।’
গাংনী থানার ওসি মনোজীত কুমার নন্দী বলেন, ‘সম্রাট একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে। তাকে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে গাংনী থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। সে নিয়মিত ওষুধ খেত।’
সম্রাটকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।