বিএনপি নেতাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠাণ্ডা করার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার রাজধানীর গাবতলীতে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে এমন ঘোষণা দেন তিনি।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুই চালান ইউরেনিয়াম এসেছে। বেশি লাফালাফি করলে কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু মঈন খানের মাথায়, কিছু আব্বাসের মাথায়, কিছু রিজভীর মাথায় ঢেলে দেব। এখন ডাণ্ডা মেরে নয়, ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠাণ্ডা করব।’
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই সমাবেশ উপলক্ষে গাবতলী থেকে মিরপুর রোডগামী সড়কের মাঝখানে মঞ্চ তৈরি করা হয়।
গাবতলী-মিরপুর সড়কে সোমবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশের একাংশ। ছবি: নিউজবাংলা
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা রূপপুর বন্ধ করতে চায়, তাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠাণ্ডা করে দেব। ইউরেনিয়ামের দুটি চালান এসে গেছে। পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছেন।
‘বাংলাদেশে সাংঘাতিক আলো ঝলমল পরিবেশ হবে। এতে ফখরুলের অন্তর্জ্বালা, মঈনুদ্দিন খানের (মঈন খান) অন্তর্জ্বালা। রূপপুর বন্ধ করে দেবে বলেছে, কে বলেছে? আমরা বলছি- রূপপুর যারা বন্ধ করতে চায় সেই ফখরুল, মঈন খানের মাথায় রাশিয়ার ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব।’
আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘আগামী জানুয়ারিতে ভোট হবে। তার আগে নভেম্বরে কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা হবে। ভোট হবে, খেলা হবে। বিএনপির সঙ্গে খেলা ছাড়া উপায় নেই।
‘বিএনপির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চোরের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সারা বাংলায়, সারা ঢাকায় খেলা হবে। জোরে জোরে খেলা হবে। ফাউল করলে লালকার্ড, ফাউল করলে হলুদ কার্ড।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা বলছেন যে তাদের আন্দোলন চলবে। মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকা অচল করে দেবেন অক্টোবর মাসে। ঢাকা অচল করতে এসেই দেখেন! ঢাকাবাসী বিএনপিকে অচল করে দেবে। অচল করতে এলে নিজেরা অচল হয়ে যাবেন।
‘কবে আসবেন, ডেটটা দেন না। ডেট দেন, লাফালাফি, নাচানাচি, বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন। ভালো হবে না। বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে। আমরা প্রস্তুত।’
সমাবেশে উপস্থিত ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন করেন, ‘ডেঙ্গু থামছে? ভালো ওষুধ আনেন। মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। আপনি দৌড়াদৌড়ি করেন ভালো। ছোটাছুটি করেন ঠিক আছে। কিন্তু ঠিকমতো মশাকে আঘাত করেন। মানুষ বড় কষ্টে আছে। শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম মানুষের কথা চিন্তা করে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম বেশি। কিন্তু একটা মানুষও না খেয়ে মরেছে? শেখ হাসিনা মানুষের জন্য আছেন। কাউকে না খেয়ে মরতে দেবেন না। আমি খাবো না, তবু মানুষকে খাওয়াবো। মানুষ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে, আওয়ামী লীগ বাঁচবে, মুক্তিযুদ্ধ বাঁচবে।’