ঢাকার বনানীতে সিটি করপোরেশনের জমির ওপর বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের নির্মিত বহুতল ভবন শেরাটন হোটেলের ২১ থেকে ২৮ তলার ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছে হাইকোর্ট।
শেরাটন হোটেল নিয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থিতিবস্থা বজায় থাকবে বলে আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল নীলিম। বোরাক টাওয়ারের পক্ষে ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন ও অ্যাডভোকেট আবু তালেব, আর রাজউকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ইমাম হাসান।
এ সময় আদালত বলেছে, ২১ তলার অনুমতি নিয়ে ২৮ তলা কীভাবে করা হলো? এটা কী সিটি করপোরেশনের দেখার দায়িত্ব না। সেই দায়িত্ব আমরা নেব কেন?
এর আগে গত ২৯ আগস্ট এই আদালত শেরাটন হোটেল ভবন বণ্টনের চুক্তি চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিয়ে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলে। একই সঙ্গে শুনানির পরবর্তী তারিখ ৯ অক্টোবর দিন ঠিক করে দেয় আদালত।
ধার্য তারিখ মোতাবেক শুনানি হয় সোমবার। শুনানি শেষে ২১ থেকে ২৮ তলার ওপর রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতিবস্থা (যেমন আছে, তেমন থাকবে) জারি করে আদালত।
‘সরকারি জমিতে পাঁচ তারকা হোটেল’ শিরোনামে গত ১ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। সেই প্রতিবেদন যুক্ত করে ১১ জুন রিট করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেই রিটের শুনানিয়ে আদালত রুল জারি করে।
স্থানীয় সরকার সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।