বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চুল-দাড়ি কেটে চেহারা পরিবর্তন, তবুও হলো না খুনের আসামির রক্ষা

  • প্রতিনিধি, গাইবান্ধা   
  • ৯ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:০৬

পলাশবাড়ি থানার ওসি (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী বলেন, ‘গ্রেপ্তার এড়াতে পাপুল চুল ও দাঁড়ি কেটে ছোট করে। ফলে তাকে গ্রেপ্তারে কিছুটা বেগ পেতে হয়। এ মামলার এখন পর্যন্ত পাপুল, পাপুলের স্ত্রী ও তার এক বন্ধুসহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক রয়েছে। আশা করি তারাও দ্রুতই গ্রেপ্তার হবে।’

গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে গভীর রাতে আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা মিয়া হত্যার মূল আসামি পাপুল আকন্দকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পলাশবাড়ি থানার ওসি (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী সোমবার সকালে জানান, গ্রেপ্তার এড়াতে অভিযুক্ত পাপুল তার লম্বা চুল কেটে ছোট করার পাশাপাশি দাঁড়িও কামিয়েছিলেন।

এ মামলার ছয় আসামির মধ্যে এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করল পুলিশ। প্রধান অভিযুক্ত পাপুল আকন্দ উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়া গ্রেপ্তার বাকি দুই আসামি হলেন পাপুলের স্ত্রী শাহিনুর বেগম ও একই এলাকার পাপুলের বন্ধু পাপুল (২)।

সম্প্রতি নয়নপুর গ্রামে রাতে আশঙ্কাজনক হারে চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় কয়েকজন যুবককে প্রহরী (পাহারাদার) নিয়োগ করা হয়। এলাকায় সিদ্ধান্ত হয় জরুরি কারণ ছাড়া রাত ১০টার পর অযাথা ঘোরাফেরা করা যাবে না। কেউ অযথা ঘোরাফেরা করলে তাকে জবাবদিহিতা করতে হবে।

পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়ভাবে এমন সিদ্ধান্তের পর গত ২৫ অক্টোবর রাত ১২টার পর পাপুল আকন্দকে পেয়ে খায়রুল নামে এক প্রহরী পথরোধ করে। বাইরে থাকার কারণ জানতে চাওয়ায় উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। খবর পেয়ে ওয়ার্ড সদস্য বাদশা মিয়াসহ অন্যান্যরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য সেখানে উপস্থিত হলে বাদশা মিয়ার সঙ্গে পাপুলের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পাপুল তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে বাদশা মিয়ার বুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। বাদশা মিয়ার ভাই স্বপন ও সবুজ এগোতে গেলে তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় পাপুল।

পরে স্থানীয়রা গুরত্বর আহত বাদশা মিয়া সহ তিনজনকেই উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বাদশা মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত বাদশা মিয়া বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বেতকাপা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতিও।

এ ঘটনায় পরদিন ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাদশার মেয়ে স্বপ্না বেগম বাদী হয়ে পাপুলকে প্রধান আসামি করে পাপুলের স্ত্রী শাহিনুর বেগম, বাবা মোসলেম আকন্দ ভোলা, মা মিলি বেগম এবং পালুলের দুই বন্ধু পাপুল (২) ও জীবন সহ অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে পলাশবাড়ি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর ওই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পলাশবাড়ি থানা পুলিশ।

দিবাকর অধিকারী বলেন, ‘গ্রেপ্তার এড়াতে পাপুল চুল ও দাঁড়ি কেটে ছোট করে। ফলে তাকে গ্রেপ্তারে কিছুটা বেগ পেতে হয়। এ মামলার এখন পর্যন্ত পাপুল, পাপুলের স্ত্রী ও তার এক বন্ধুসহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক রয়েছে। আশা করি তারাও দ্রুতই গ্রেপ্তার হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর