বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজপথেই ফয়সালা হবে: আমীর খসরু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৮ অক্টোবর, ২০২৩ ১৯:১১

আমীর খসরু বলেন, ‘আগামী দিনে জাতীয় সরকার গঠিত হবে। কারণ দেশের যা অবস্থা সেখান থেকে তুলে যদি দেশকে একটা রাস্তায় আনতে হয় তাহলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

আওয়ামী লীগ কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, এটা যারা ভাবছে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। তাই রাজপথেই ফয়সালা হবে।’

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে রোববার এনডিএম আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু বলেন, ‘আগামী দিনে জাতীয় সরকার গঠিত হবে। কারণ দেশের যা অবস্থা সেখান থেকে তুলে যদি দেশকে একটা রাস্তায় আনতে হয় তাহলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আদালত জামিন দেবে না, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে না, ব্যাংকগুলো লুটপাটের জন্য কাউকে দায়ী করবে না। কারণ আমরা একটা ফ্যাসিস্ট রেজিমের অধীনে আছি। এখানে আইনের শাসন প্রত্যাশা করলে কোনো লাভ হবে না।’

নির্বাচন কমিশন ভোটচুরির প্রকল্পের অংশ জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার ফ্যাসিস্ট রেজিমের একটা অংশ। তাকে বসানোই হয়েছে কারচুপির নির্বাচন করার জন্য। এদের কিছু বলে কোনো লাভ নেই। একটাই উপায় আছে, এই রেজিমকে সড়াতে হবে।’

বিচারকরাও এই প্রক্রিয়ার অংশ জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘হিটলারের সময় আইন ছিল, যদি নাজি পার্টির সঙ্গে আইনের কোনো সংঘর্ষ হয় তাকে নাজি পার্টি প্রাধান্য পাবে। মুসোলিনি, স্ট্যালিনের সময়ও এমনই নীতি ছিল। বাংলাদেশও এখন এমন। অনেকে ১০ বছরেও জামিন পাচ্ছে না। এরসঙ্গে আইনের কোনো সম্পর্ক নেই। বিচারকরা মাস্টারের আনুগত্য প্রদর্শন করছে মাত্র।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের অধিকার আওয়ামী লীগের নেই জানিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ এককভাবে এটা বাতিল করলো। এটা অবৈধ কাজ, এটা বাতিল করার অধিকার নেই।’

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনা যাওয়ার পর যে রাজনীতি আসবে তা ভিন্ন রাজনীতি। রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার, আইনের শাসন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। মানুষের অংশগ্রহণ থাকবে। শুধুমাত্র একজন ফ্যাসিস্টকে বিদায় করার জন্য আমরা আন্দোলন করছি না, একটি জ্ঞানভিত্তিক, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের আন্দোলন।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটা প্রতারক রাজনৈতিক দল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফার ৫ নম্বর দফায় ছিল পূর্ব পাকিস্তানের অর্থ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার বন্ধ করতে হবে। সেই পাচার এখনো চলছে। মানুষের আয় একশ টাকা বাড়লে জিনিসপত্রের দাম এক হাজার গুণ বেড়েছে। ১২টা প্রতিষ্ঠান মিলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। পুলিশ, বিচারসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে দলীয়করণ হয়েছে যে চেহারা না দেখে বক্তব্য শুনলে মনে হবে আওয়ামী লীগের নেতা বক্তব্য দিচ্ছে।’

২০১৮ সালের নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ২,২৭২টি কেন্দ্রে শূন্য ভোট পেয়েছিল জানিয়ে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সভাপতি ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘আমরা এখন একটা হাইব্রিড রেজিমে আছি যেখানে একনায়কতন্ত্রের আড়ালে গণতন্ত্রের নাটক হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের এক মহোৎসব। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের ভোট ব্যাংক খ্যাত এলাকাগুলোর ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির আয়োজন করে।’

সভায় এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘এই রেজিম ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের মাধ্যমে আর শেখ হাসিনার ক্ষমতায় আসা সম্ভব না। এটা বুঝেই তিনি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন। আমি মনে করি, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ সেই নির্বাচন বর্জন করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর