বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিলেটে পৃথক ঘটনায় টিলা ধসে শিশু নিহত, বাড়ি বিধ্বস্থ

  • প্রতিবেদক, সিলেট   
  • ৭ অক্টোবর, ২০২৩ ২১:১৪

টিলা ধসের খবরে ঘটনাস্থলে যান জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম। তিনি খাদ্য সহায়তা বাবদ ১০ হাজার টাকা করে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে সহায়তা প্রদান করেন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পূনর্বাসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও পাহাড় ও টিলার নিকট ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে মাইকিং করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

সিলটে সদর উপজেলার খাদিম চা বাগান এলাকায় টিলা ধসে এক শিশু মারা গেছে। এছাড়া জৈন্তাপুর উপজেলায় টিলা ধসে তিনটি বাড়ি বিধ্বস্থ হয়েছে।

শনিবার ভোরে পৃথক পৃথক টিলা ধসের ঘটনা দুইটি ঘটে। ভারি বৃষ্টির কারণে টিলার মাটি নরম হয়ে ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিস্ট কর্মকর্তারা।

শিশু নিহতের ঘটনা

শনিবার ভোরে খাদিম চা বাগান বস্তি লেনের টিলা ধসে বুলবুল ছত্রীর ১১ বছরের শিশু অর্চনা ছত্রী মারা যায়।

খা‌দিমনগর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান শামীম জানান, অর্চনাদের ঘরটি ছিলো একটি টিলার পাদদেশে। ভারী বৃষ্টিতে ভোরে টিলা ধসে অর্চনাদের ঘরের ওপর পরে। এতে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সকালে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নগরের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন সিপন বলেন, ‘একটি শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তবে স্থানটি দুর্গম হওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি।’

দুটি টিলা ধসে তিনটি বাড়ি বিধ্বস্থ

অপরদিকে একই সময় জৈন্তাপুর উপজেলার ৬ নম্বর চিকনাগোল ইউনিয়নে দুটি টিলা ধসে তিনটি বাড়ি বিধ্বস্থ হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো আবদুল ওয়াদুদ জানান, তার বাড়ির কাছে ভোরে একটি টিলা ধসে পড়ে। এরপর কিছু দূরের আরেকটি টিলা একই সঙ্গে তিনটি বাড়ির ওপরে ধসে পড়ে। তবে ধসের আগে এসব ঘরের বাসিন্দারা দ্রূত বেরিয়ে যাওয়ায় রক্ষা পেয়ে যায়।

টিলা ধসে স্থানীয় লেদই পাত্র, সুদেন পাত্র ও রণ পাত্রের বাড়ি পুরো ভেঙে গেছে।

টিলা ধসের খবরে ঘটনাস্থলে যান জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম। তিনি খাদ্য সহায়তা বাবদ ১০ হাজার টাকা করে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে সহায়তা প্রদান করেন।

ইউএনও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পূনর্বাসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও পাহাড় ও টিলার নিকট ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে মাইকিং করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর