প্রধানমন্ত্রীই ভিসানীতির কারণে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশে শনিবার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে। সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক শেখ হাসিনার চোখেমুখে। উন্মাদ হয়ে গেছেন তারা। এরা এখন লুটের টাকা কীভাবে রক্ষা করবে তা নিয়ে চিন্তায় আছে।’
খালেদা জিয়ার বয়স নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একজন প্রধানমন্ত্রীর ভাষা...। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করতে আপনার মুখে বাধে না? আসলে এ দলের মধ্যে কোনো শিষ্টাচার নেই। এরা কাউকে সম্মান দিতে জানে না।’
বর্তমান সরকারকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘অনেক অন্যায় করেছেন, অনেক হত্যা ও নির্যাতন চালিয়েছেন। দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছেন। কেড়ে নিয়েছেন মানুষের সব অধিকার। তাই দেশ রক্ষায় এ সরকারকে সরাতে হবে। সরকারকে সরাতে যা যা করার সবই করতে হবে। বিদায় হতেই হবে, জবাবদিহি করতেই হবে। গণমাধ্যমকে তাদের কথা অনুযায়ী চলতে হয়। অদৃশ্য শক্তি সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারে না।’
শিক্ষাব্যবস্থার খারাপ অবস্থার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষাকে বাঁচাতে সরকারের পরিবর্তন করতে হবে। টাকা ও দলীয় বিবেচনা ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ হয় না। এ খাত পঙ্গু করে দেশকে নতজানু করে রাখতে চায় তারা। পাঠ্যক্রমে বর্তমানে কোনো শিক্ষা নেই।’
শিক্ষামন্ত্রীর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তার লোকজন নানা অপকর্মে জড়িত। তার অনুসারীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুট করছে। শিক্ষিকা এবং ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করছে। এমনকি এ মন্ত্রীর লোকজন আজ বালু খেয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ সারা দেশে আওয়াজ ওঠেছে, এ সরকারকে বিদায় করো। তাদের রাজনৈতিক সময় শেষ হয়ে গেছে। এখনো সময় আছে, মানে মানে কেটে পড়েন। মানুষ ও দেশকে রেহাই দাও।’
শিক্ষক সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেন, ‘যে যাই বলুক বিএনপি তার মতো করেই অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করবে। সরকারের ফাঁদে তারা এখন পর্যন্ত পা দেয়নি। সামনেও দেবে না।’
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ অনেকে।