কুমিল্লার লাকসামে জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাস সংযোগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গ্যাস লাইন সংযোগ দেয়ার কাজে গ্রাহক প্রতি তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। এমনটাই অভিযোগ গ্রাহকদের।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে বদলি করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মো. সোলায়মান বলেন, ‘লাকসাম এলাকায় নতুন গ্রাহক সংযোগের অভিযোগ পেয়েছি। সন্দেহভাজন তিনজনকে বদলি করা হয়েছে। এ নিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বদলি করা হয় ব্যবস্থাপক মো. ওয়ালিউল ইসলামকে, আশুগঞ্জে বদলি করা হয় উপব্যবস্থাপক অতুল কুমার নাগকে ও সহকারী ব্যবস্থাপক কাজী মো. আনোয়ার হোসেনকে বদলি করা হয় চাঁদপুরে।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ২০১৬ সালের পর থেকে সরকার নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ রেখেছে। সম্প্রতি বাখরাবাদ গ্যাস তাদের গ্রাহক সংখ্যা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখে লাকসাম উপ-আঞ্চলিক বিক্রয় কেন্দ্রে ১৮০ জন গ্রাহকের অস্বাভাবিকভাবে সফটওয়ারে এন্ট্রি হয়েছে।
এ নিয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারির পর ১৮০ জন গ্রাহকের নাম সফটওয়ারে এন্ট্রি করা হয়। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে তিন সদস্যের কমিটির প্রধান করা হয়েছে উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মাহমুদুজ্জামানকে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, গ্যাস সংযোগ বন্ধ অবস্থায় কীভাবে নতুন গ্রাহক এন্ট্রি হলো, তা কমিটি খতিয়ে দেখবে। লাকসাম অফিস ইনচার্জ উপ-ব্যবস্থাপক অতুল কুমার নাগ ও সহকারী ব্যবস্থাপক কাজী মো. আনোয়ার হোসেনের ইউজার আইডি দিয়ে গ্রাহকদের এন্ট্রি করা হয়েছে। কুমিল্লা অফিসে কর্মরত ব্যবস্থাপক মো. ওয়ালিউল ইসলামের ইউজার আইডি দিয়ে সেগুলো অনুমোদন করা হয়।
সূত্র আরও জানায়, বাখরাবাদ গ্যাসে অবৈধ সংযোগ, গ্রাহকের টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়মে বিভিন্ন সময়ে তদন্ত কমিটি হয়। অপরাধীদের কোনো শাস্তি হয় না। সর্বোচ্চ তাদের বদলি করা হয়।
লাকসাম উপ-আঞ্চলিক বিক্রয় কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-ব্যবস্থাপক অতুল কুমার নাগ অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘নতুন গ্রাহক এন্ট্রির বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তার বদলি স্বাভাবিকভাবে হয়েছে।’
ব্যবস্থাপক মো. ওয়ালিউল ইসলাম জানান, নতুন গ্রাহক এন্ট্রির বিষয়ে তিনিও কিছু জানেন না। তার ইউজার আইডি ব্যবহার করে গ্রাহক অনুমোদনের বিষয়েও তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান।