খুলনায় ইমন শেখ হত্যার ঘটনায় পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সারারাত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
২৩ বছরের বয়সী ইমন নগরীর গোবরচাকা নবীনগর এলাকায় সানোয়ার শেখের ছেলে।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নগরীর শেখপাড়া লোহাপট্টি এলাকার ২৮ বছর বয়সী নাজমুল সাকিব জাকারিয়া, একই ৩২ বছর বয়সী মো. রিয়াজ, ৩৫ বছর বয়সী বুলু পটোয়ারী, ২০ বছর বয়সী আকাশ হাওলাদার ও ২২ বছর বয়সী আপন খাঁ।
সম্মেলেনে তাজুল ইসলাম জানান, ইমনের পিতা সানোয়ার শেখ বৃহস্পতিবার রাতেই ১৭ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। তবে এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ডকে এখনও ধরা সম্ভব হয়নি। তাকে এবং একই সঙ্গে অপর আসামিদের ধরার জোর চেষ্টা চলছে। আসামিদের রিমাণ্ডে নিলে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে। আর যে অস্ত্রটি আমরা উদ্ধার করেছি সেটি দিয়েই এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে কেএমপির সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) আবু নাসের আল-আমিন, সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর গোবরচাকা তালুকদার লেনের গাবতলা মোড়ের ভাজাওয়ালা গলির মোহাম্মদ খাঁর বাড়ির সামনে ৫ থেকে ৬টি মোটর সাইকেলে ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ইমন শেখের বুকের বাম পাশে একটি গুলি বিদ্ধ হয়। এতে সে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইমনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাত সোয়া ৮টার দিকে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।