বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, স্থবির নগরজীবন

  • প্রতিনিধি, সাভার   
  • ৬ অক্টোবর, ২০২৩ ১৫:১৫

সাভার ব্যাংক কলোনি এলাকার বাসিন্দা আবদুর রউফ বলেন, ‘আমাদের এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। বৃষ্টি হলে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা একেবারেই অসম্ভব। হাটু পানিতে এখানকার বেশিরভাগ রাস্তা তলিয়ে যায়।’

একদিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ঢাকার অদূরে গুরুত্বপূর্ণ জনপদ সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল। রাস্তাঘাট, বাজার, স্কুল ডুবে গেছে পানিতে। কোথাও কোথাও পানি উঠে পড়েছে বাসা-বাড়িতেও। এমন বাস্তবতায় চরম বিপাকে পড়েছেন ওই অঞ্চলে বসবাসরত মানুষ।

সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের পেশাজীবীরা।

স্থানীয়রা জানায়, পানি নিষ্কাশনে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই এ অঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, রাজধানীর বিমানবন্দরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কটির বাইপাইল এলাকায় কোমর পর্যন্ত পানি। এদিকে গণপরিবহন সংকটে অনেকেই বাধ্য হয়ে এ পানিতেই চলাচল করেছেন।

মাঝে মধ্যে বিকল হতে দেখা গেছে যানাবাহন, ঘটেছে দুর্ঘটনাও। শুধু সড়কই নয়, জামগড়া, ইউনিক, চিত্রশাইল, শিমুলতলা, নরসিংহপুর, কবিরপুর, ভাদাইল, ও গাজীরচটসহ আশপাশের প্রায় প্রতিটি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বাজারঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠে পড়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

ইপিজেড এলাকার পোশাক কারখানার কর্মী রোকেয়া আক্তার বলেন, ‘সারা সপ্তাহ আমরা গার্মেন্টসে কাজ করে আজ শুক্রবারের দিনটা বাজার করি, কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে আশুলিয়ার রাস্তাঘাট সব তলিয়ে গেছে। পানি আমার বাসাতেও উঠে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সবচাইতে বেশি কষ্ট আমাদের শ্রমিকদেরই।’

তিনি বলেন, ‘এ এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেক দিনের। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো এলাকা তলিয়ে যায়। শুকনা মৌসুমেও গুরুত্বপূর্ণ টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে পানি জমে থাকে।’

হেদায়েত হোসেন নামে আরেক পোশাক শ্রমিক বলেন, ‘এ রাস্তার নরসিংপুর থেকে বাইপাইল পর্যন্ত কোমর সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। বাসা থেকে জরুরি কাজে বের হয়ে এখন চরম বিপদে পড়েছি। গাড়িও পাচ্ছি না। ৩০ টাকার রিকশা ভাড়া ৫০ থেকে ১০০ টাকাও চাচ্ছে।’

জলাবদ্ধতার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সাভার পৌরসভা এলাকাতেও।

একাধিক সূত্র জানায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মাশরুম সেন্টারের সামনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংক কলোনি, রেডিও কলোনি, গেন্ডা, সোবহানবাগ, রাজাশন, মজিদপুর, বনপুকুরসহ পৌরসভার অধিকাংশ এলাকায় পানিতে তলিয়েছে রাস্তাঘাট, দোকানপাট।

পৌরসভার ভয়াবহ জলাবদ্ধতার চিত্র নিজের ফেসবুকে লাইভ করে জানিয়েছেন ওমর ফারুক। তিনি পৌর এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় সাংবাদিক।

ব্যাংক কলোনি এলাকার বাসিন্দা আবদুর রউফ বলেন, ‘আমাদের এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। বৃষ্টি হলে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা একেবারেই অসম্ভব। হাটু পানিতে এখানকার বেশিরভাগ রাস্তা তলিয়ে যায়।

‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে আজ পর্যন্ত যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, এতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। অনেকের বাড়িতেও পানি উঠে গেছে।’

পৌরসভার সোবহান বাগ এলাকার বাসিন্দা বলেন, ‘আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানের সামনেও অনেক পানি। দোকান খোলারও উপায় নেই। সব মিলিয়ে আমরা নিম্ন আয়ের মানুষরা অনেক বিপদে আছি।’

এ বিভাগের আরো খবর