বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাতভর বৃষ্টিতে ময়মনসিংহ শহরের বাসাবাড়ি, হাসপাতাল, বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি

  • প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ   
  • ৬ অক্টোবর, ২০২৩ ১৫:৩৪

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘সকাল থেকে বৃষ্টি না থাকায় পানিও কমতে শুরু করেছে। দ্রুত পানি সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে কয়েকটি টিম কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করতে পারব।’

ময়মনসিংহে বৃহস্পতিবারের টানা বৃষ্টিতে নগরের প্রায় সব এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক ঘরবাড়িতেই থইথই করছে পানি। এতে নগরবাসী পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল নগরে। সন্ধ্যার পর থেকে রাতভর ভারি বৃষ্টিতে নগরের ড্রেনগুলো উপচে পানি ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে; সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার।

বৃষ্টির পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র, সরকারি হাসপাতাল, বাসাবাড়ি, দোকানে ঢুকে পড়ে তৈরি করছে চরম ভোগান্তি।

সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার দুপুরে পানি কিছুটা কমলেও বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে মানুষের ভোগান্তি বড় পরিসরে কমেনি।

ভুক্তভোগীদের ভাষ্য

নগরের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, টানা বৃষ্টিতে প্রধান সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বাসাবাড়ির নিচ তলাগুলো তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন বস্তিতে করতে হচ্ছে মানবেতর জীবনযাপন।

বস্তির ঘরগুলো হঠাৎ বর্ষণে তলিয়ে যায়। বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও কন্ট্রোল রুমে পানি ঢোকায় বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টা থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

নগরের আর. কে মিশন রোড এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘স্মরণকালের ভয়াবহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে কাল থেকে। রাত ৯টার পর থেকেই আমাদের এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতা শুরু হয়।

‘এখন পর্যন্ত জলাবদ্ধতা রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে লোকজন।’

ব্রাহ্মপল্লী এলাকার আরিফুর রহমান বলেন, ‘বাসার নিচতলায় পানি প্রবেশ করেছে। ড্রেনের ময়লা পানির গন্ধে অতিষ্ঠ হচ্ছে এলাকার লোকজন।

‘বাসা থেকে বের হয়ে কোথাও যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। জলাবদ্ধতার কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সবাইকে।’

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ছবি: নিউজবাংলা

কী বলছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক জাকিউল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতাল চত্বরে পানি ঢুকে পড়েছে। স্টাফ কোয়ার্টারগুলোর নিচ তলা পানিতে তলিয়ে গেছে।

‘গত রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর দিয়ে চিকিৎসাসেবা চালু রাখা ছিল। সকাল থেকে বিকল্প বিদ্যুৎ লাইনে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা চালু রয়েছে।’

রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের পরিদর্শক মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, ‘রেলপথ পানিতে তলীয় যাওয়ায় সিগন্যাল পয়েন্ট কাজ করছে না। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে। সময় নিয়ে ধীরে ধীরে ট্রেন পার করতে হচ্ছে।’

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ময়মনসিংহের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কেওয়াটখালী পাওয়ার গ্রিডের কন্ট্রোল রুমে পানি ঢুকে পড়েছে গতকাল। এতে নগরীর স্টেশন রোড, পাদ্রী মিশন, চরপাড়াসহ বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন আছে। ঠিক হতে কত সময় লাগবে তা এখন বলা যাচ্ছে না।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘সকাল থেকে বৃষ্টি না থাকায় পানিও কমতে শুরু করেছে। দ্রুত পানি সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে কয়েকটি টিম কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করতে পারব।’

এ বিভাগের আরো খবর