বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়ম-বহির্ভূত ব্যবসার অভিযোগ

  • প্রতিনিধি, মাদারীপুর   
  • ৬ অক্টোবর, ২০২৩ ১৩:১৬

ডাসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘একজন এমপিওভূক্ত শিক্ষক কখনোও স্ট্যাম্প ভেন্ডারের লাইসেন্স করতে পারে না। শিক্ষক সেলিম রেজার বিষয়টি নিয়ে আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবো। প্রমাণ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মাদারীপুরের কালকিনিতে অবস্থিত ডাসার ডি. কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক মো. সেলিম রেজার বিরুদ্ধে স্ট্যাম্প ভেন্ডারের ব্যবসার করার অভিযোগ উঠেছে।

নিয়ম অনুযায়ী, কোনো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা বা অন্য কোনো সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি ক‌মিশন ভি‌ত্তি‌তে রাজস্ব খাত থে‌কে আয় হয় এমন কোনো কাজ করতে পারবেন না। অর্থাৎ, একই ব্যক্তি সরকারি ভাবে দুই যায়গায় থে‌কে আয় করবে এমন কোনো বিধান নেই আইনিভাবে।

আর তাই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন উপজেলার শিক্ষক সমাজ ও স্থানীয় সচেতন মহল।

সম্প্রতি ওই শিক্ষকের ‘অবৈধ’ ব্যবসার বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার বিভিন্ন মহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষক সেলিম রেজা ডাসার থানা ভবন সংলগ্ন জামে মসজিদ-ই-নুর মার্কেটে ‘সেলিম রেজা টেকনিক্যাল ট্রেনিং’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দীর্ঘ দিন যাবত ব্যবসা করছেন। ওই শিক্ষক নিজের নামে একই দোকানে ‘মো. সেলিম রেজা স্ট্যাম্প ভেন্ডার, লাইসেন্স নং-১৯/২০২২/২০২৩’ নামে একটি স্ট্যাম্প ভেন্ডারের সাইনবোর্ড লাগিয়ে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও কার্টিজ পেপারসহ অন্যান্য সামগ্রী বিক্রয় করে আসছেন। এমন কি শিক্ষক সেলিম রেজা তার স্ট্যাম্প ভেন্ডারের লাইসেন্সের ব্যানার উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে লাগিয়ে দিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষক ক্ষোভের সঙ্গে জানান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পিতার নামে ওই কলেজের নাম। আর ওই কলেজের শিক্ষক হয়ে অবৈধ ব্যবসা করে আসছে সেলিম রেজা।

তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাই।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক সেলিম রেজা বলেন, ‘আমি লাইসেন্স করে স্ট্যাম্প ভেন্ডারের ব্যবসা করে আসছি। এটা কেন অবৈধ হবে! যদি অবৈধ ব্যবসা হয়ে থাকে, তাহলে আগামীতে আমার নামে বাদ দিয়ে অন্য কারো নামে ব্যবসা করা হবে।’

ডি. কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মমতাজ বেগম বলেন, ‘শিক্ষক সেলিম রেজা স্ট্যাম্প ভেন্ডারের ব্যবসা করে আসছে বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি সঠিক তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় সেক্ষেত্র তাকে শোকজ করা হবে।’

ডাসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষক কখনোও স্ট্যাম্প ভেন্ডারের লাইসেন্স করতে পারে না। শিক্ষক সেলিম রেজার বিষয়টি নিয়ে আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবো। প্রমাণ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ ব্যাপারে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কারিজ আফরোজ বলেন, ‘শিক্ষক সেলিম রেজা তার নিজের নামে স্ট্যাম্প ভেন্ডারের লাইসেন্স তৈরী করে ব্যবসা করে আসছে, বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি। তবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর