বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবীর যোগসাজশে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে মাসে ইয়াবা আসে অর্ধকোটি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ১৪:৩৯

র‍্যাব জানায়, বাবুলের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে টেকনাফ থানায় একটি মাদক মামলা হয়। সে ২০১৭ সালে জাবু হত্যা মামলায় প্রায় ২ মাস কারাভোগ করে জামিনে বের হয়ে আসে। অবৈধ ব্যবসায় প্রায় ৫০ কোটি টাকার বিপুল পরিমানের সম্পদ গড়ে তোলে বাবুল। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় হত্যা, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে ৯টির অধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

মিয়ানমার থেকে চোরাকারবারির অন্যতম হোতা কক্সবাজারের শীর্ষ মাদক ও অস্ত্র কারবারি জাফরুল ইসলাম ওরফে বাবুলকে বিপুল পরিমান মাদক ও অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফের কাটাখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৫।

র‍্যাব জানায়, বাবুল পালংখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার। তার হাত ধরে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ লাখ ইয়াবার চালান দেশে ঢোকে। বাবুল রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী নবী হোসেনের সঙ্গে চুক্তি করে চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে পাশের দেশে থেকে নাফ নদী দিয়ে মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণ চোরাচালান করে আসছে।

গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৫৫ হাজার পিস ইয়াবা, ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার বাবুল মাদক কারবারসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এলাকায় ২০ থেকে ২৫ জনের একটি চক্র গড়ে তোলে। বাবুল মাদক কারবারের পাশাপাশি এলাকায় চাঁদাবাজি, স্বর্ণ চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র, জোরপূর্বকভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন, অবৈধভাবে চোরাই পথে গবাদি পশু চোরাচালান, অবৈধভাবে পাহাড় কেটে মাটির ব্যবসাসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।’

তিনি জানান, বাবুল ২০০৫ সাল থেকে মাদক এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতেন। ২০১৭ সালে এলাকার অপর এক মাদক কারবারি লুৎফুর রহমানের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পলাতক তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী নবী হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। নবীর সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকে গ্রেপ্তার বাবুলের বিশদ আকারে মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বাবুল পলাতক নবী হোসেনের সঙ্গে চুক্তি করে চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে রাতের আধারে মিয়ানমার থেকে নাফ নদী দিয়ে মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণ চোরাচালান করে আসছেন।

র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘চোরাচালানের সময় তার দলের ২০ থেকে ২৫ জন সশস্ত্র সদস্য পাহারা দিয়ে চালান বাংলাদেশে পৌঁছাতো। বাবুল সপ্তাহে ৪ থেকে ৫টি ইয়াবার চালান এনে অস্ত্রধারী কেরিম্যানদের সহযোগিতায় বালুখালী ক্যাম্প সংলগ্ন তার নিয়ন্ত্রিত বেশকিছু চিংড়ির খামারের ভিতরে রাখতো। এ সকল চালানে প্রায় ২ লাখ পিস ইয়াবা থাকতো এবং তা দেড় লাখ টাকায় কিনে এনে প্রায় ৩ বা ৪ লাখ টাকায় বিক্রয় করতো। এছাড়াও বাবুল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণ এনে তা চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাতেন।’

র‍্যাব জানায়, বাবুলের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে টেকনাফ থানায় একটি মাদক মামলা হয়। সে ২০১৭ সালে জাবু হত্যা মামলায় প্রায় ২ মাস কারাভোগ করে জামিনে বের হয়ে আসে। অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, স্বর্ণ চোরাচালানসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে অবৈধভাবে কক্সবাজারে বিলাশ বহুল ফ্ল্যাট, ডামট্রাক, ট্রাক, এলাকাতে জমি এবং মাছের প্রজেক্টসহ প্রায় ৫০ কোটি টাকার বিপুল পরিমান সম্পদ গড়ে তোলে বাবুল। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় হত্যা, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে ৯টির অধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

এ বিভাগের আরো খবর