চট্টগ্রামে পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক উপপরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাকে গ্রেপ্তারকারী দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ওই দুই পুলিশ সদস্য হলেন চান্দগাঁও থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউছুপ আলী ও এটিএম সোহেল রানা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) এম এ আসাদ স্বাক্ষরিত আদেশে দুজনকে চান্দগাঁও থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আদেশে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে প্রশাসনিক কারণে দামপাড়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি
পুলিশ হেফাজতে সাবেক দুদক কর্মকর্তার মৃত্যুর বিষয়টি তদন্তে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এই বিষয়ে সিএমপির গণসংযোগ কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপকমিশনার স্পীনা রানি প্রমাণিক জানান, নগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি উত্তর) মোখলেছুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত কমিটিতে অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি-উত্তর) পংকজ দত্তকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ ছাড়াও নগর পুলিশের বিশেষ শাখার একজন সহকারী কমিশনারকে কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
দুদকের সাবেক উপপরিচালকের মৃত্যুর ঘটনায় নিয়ম বহির্ভূত কোনো আচরণ করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করে কমিটিকে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।
নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা পরিবারের
পুলিশ হেফাজতে দুদকের সাবেক উপপরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লার মৃত্যুর ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে তার পরিবার।
তার ছেলে ক্যাপ্টেন নাফিস শহিদ বলেন, ‘আমরা অবশ্যই মামলা করব। আমরা আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এর আগে মঙ্গলবার রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকার বাসার সামনে থেকে দুদকের সাবেক উপপরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থানায় নেয়া হলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে দাবি পুলিশের।
পরবর্তী সময়ের নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎক শহীদুল্লাকে মৃত বলে জানান, তবে শুরু থেকেই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।