সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ফটকের সামনে একটি বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা ছাত্রকে মৃত বলে জানিয়েছেন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আরিফ মিয়া প্রতিষ্ঠানটির ফটকের সামনে ‘এল সেইফ’ নামের একটি বাসায় থাকতেন। সেই বাসায় ভোররাত ৪টার দিকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান অন্য বাসিন্দারা।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাসাটিতে যান শাবির প্রক্টর অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী। তিনি পুলিশে খবর দিলে বাহিনীর সদস্যরা শাবি ছাত্রকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক সকাল ৮টার দিকে আরিফকে মৃত বলে জানান।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বাসিন্দা আরিফকে বৃহস্পতিবার সকালে মৃত ঘোষণার আগে বুধবার গভীর রাতে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।
রাত একটার দিকে আরিফ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন,
‘বিষণ্ন রজনী, কিছু চাওয়ার নেই। কিছু পাওয়ার নেই। ছাড়তে হবে চেনা গলি, চেনা রাস্তা, চেনা জগৎ। দুনিয়াটা খুবই নিষ্ঠুর। দুনিয়াটা খুবই নিষ্ঠুর। এই যে প্রেম, এই যে সৌন্দর্য, এই যে শরীর। নিরর্থক।
‘এখানে স্রষ্টার নজরও আসে না। সময় মেপে নিয়ম করে সূর্য-চন্দ্র জিইয়ে রাখে কিছু আকুল প্রাণ। জীবনটা এখানে কীটপতঙ্গের। ভালোবাসা এখানে স্থবির।’
এ বিষয়ে শাবির প্রক্টর অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “কী কারণে সে ‘আত্মহত্যা’ করেছে, এখনও জানা যায়নি, তবে বিভাগের শিক্ষকদের কাছে শুনেছি, তার একটু মানসিক সমস্যা ছিল।
“এর আগেও একবার এমন ঘটনা করতে চেয়েছিল। আমরা পরিবারের সাথে কথা বলেছি। তারা সিলেট অভিমুখে রওনা দিয়েছে।”
শাবি ছাত্রের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় জানিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘আরিফ আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছি। তদন্তে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।’