বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি হস্তান্তর আজ

  • প্রতিনিধি, পাবনা    
  • ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০৯:২১

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘সঞ্চালন লাইনসহ অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি হওয়ার পরই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। ২০২৫ সালের শুরুতে জনগণ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাবে।’

কয়েক দিন আগে দেশে এসেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) পারমাণবিক জ্বালানি। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোসাটমের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়াম বুঝে নেবে বাংলাদেশ।

পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আয়োজিত এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভার্চুয়ালি যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে অনুষ্ঠানের সার্বিক দিক পর্যবেক্ষণে রূপপুরে এক দিন আগেই (বুধবার) উপস্থিত হন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।

তিনি সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পারমাণবিক জ্বালানি হস্তান্তর হলেও এখনই উৎপাদনে যাচ্ছে না রূপপুর। আরও অনেক আনুষঙ্গিক কাজ বাকি রয়েছে। এসব কাজ শেষে এর প্রথম ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে কমপক্ষে দেড় বছর সময় লাগতে পারে। সে হিসাবে ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে দেশবাসী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে দেশের জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) ২ শতাংশ অবদান রাখবে।’

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, ‘সঞ্চালন লাইনসহ অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি হওয়ার পরই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। ২০২৫ সালের শুরুতে জনগণ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাবে। দীর্ঘ সাত বছর ধরে নিরলসভাবে এ প্রকল্পের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত এক দিনও এ প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়নি। বিশ্বের কোথাও এই মানের কোনো প্রকল্পের এতটা অগ্রগতি হয়নি এত কম সময়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক চেষ্টার ফলে এটা সম্ভব হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এটোমিক এনার্জি কমিশনের (আইএইএ) গভর্নিং বডির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। ২০২৫ সালের শুরুতে জনগণ রূপপুর থেকে বিদ্যুৎ পাবে। উত্তরবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জনগণ এ প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে। এ এলাকার মানুষ মূল স্রোতে চলে আসবে। রাশিয়াকে কীভাবে ঋণ পরিশোধ করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। পাওয়ার প্লান্টের প্রতিটি ধাপেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন মাইলফলক।’

তিনি আরও বলেন, ‘সঞ্চালন লাইনসহ অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি হওয়ার পরই পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হবে।’

প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, ‘নিউক্লিয়ার জ্বালানি প্রকল্প এলাকায় আসার পরই এটি পারমাণবিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে৷ বাংলাদেশ নিউক্লিয়ার ক্লাবের ৩৩তম সদস্য হতে যাচ্ছে। মাত্র ছয় বছর সাত মাসে আমরা প্রকল্পের এই রূপ দিতে সক্ষম হয়েছি।’

রাশিয়ান ঠিকাদার হিসেবে রোসাটম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট নিয়ে গঠিত।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরমাণু শক্তি কমিশন আরএনপিপি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। রাশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি অ্যাটমস্টোএক্সপোর্ট প্রকল্পের অধীনে ১২০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট নির্মাণ করছে। পারমাণবিক জ্বালানি রোসাটমের সহযোগী কোম্পানি টিভিইএল ফুয়েল তৈরি করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি ক্রয় করে।

এ বিভাগের আরো খবর