বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাল্য বিয়ে: বরের চাচা, কনের বাবা ও কাজী জেলে

  • প্রতিনিধি, মাদারীপুর   
  • ৪ অক্টোবর, ২০২৩ ১৯:৪৫

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মাদারীপুর সদর উপজেলাকে বাল্য বিবাহমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে কোথায়ও বাল্য বিয়ের আয়োজন করা হলে কঠোরভাবে তা প্রতিরোধ করা হবে। আয়োজক, কাজীসহ সবাইকে আইনের আওতায় আসতে হবে।’

মাদারীপুরে ইতালী প্রবাসী ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাল্য বিয়ের আয়োজন করার দায়ে কাজীসহ বরের চাচা ও কনের বাবাকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার কুলপদ্বী এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার ভুমি ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন কালকিনি উপজেলার ভাটাবালী গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী জয়নাল হাওলাদার (বরের চাচা), মাদারীপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সৈয়দারবালী এলাকার ৪৪ বছর বয়সী ওসমান শেখ (কনের বাবা) ও কুলপদ্বী এলাকার ৪৮ বছর বয়সী ফারুক কাজী।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, নকল কাগজপত্রে বয়স বাড়িয়ে বুধবার সকালে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ে দেয়া হচ্ছে- এমন খবরে বিষয়টির খোঁজ নেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তারা। পরে কালকিনির ভাটাবালী গ্রামের নুরুল ইসলাম চৌকিদারের ছেলে ইতালী প্রবাসী রুবেল চৌকিদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়ের বিষয়টি হাতেনাতে ধরা পড়ে।

তাৎক্ষনিক কাজীসহ বর ও কনের পরিবারের লোকজনকে আটক করেন কর্মকর্তারা। এরপর খবর দেয়া হয় সদর উপজেলা প্রশাসনকে। একপর্যায়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ফারুক কাজী, বরের চাচা জয়নাল হাওলাদার ও কনের বাবা ওসমান শেখকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পুলিশের সহযোগিতায় তাদের পাঠানো হয় কারাগারে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিয়মিত এই অভিযান চলবে বলেও জানান ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মাদারীপুর জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার কনা জানান, পরিপূর্ণ বয়সের আগেই কোনো বিয়ে নয়। সরকারের এই পদক্ষেপ পালনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও প্রশাসন। এই কাজ যারা করবে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মাদারীপুর সদর উপজেলাকে বাল্য বিবাহমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে কোথায়ও বাল্য বিয়ের আয়োজন করা হলে কঠোরভাবে তা প্রতিরোধ করা হবে। আয়োজক, কাজীসহ সবাইকে আইনের আওতায় আসতে হবে।’

গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাদারীপুর সদর উপজেলাকে বাল্য বিবাহমুক্ত ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। গত দেড় বছরে এই উপজেলায় ৭৩টি বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর